• ইউয়েফা নেশনস লিগ
  • " />

     

    শেষের নাটকে সেমিতে নেদারল্যান্ডস

    শেষের নাটকে সেমিতে নেদারল্যান্ডস    

     

    অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। জার্মানির সামনে লক্ষ্য ছিল একটাই, শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয়। সেই লক্ষ্যে ভালোভাবেই এগুচ্ছিল জোয়াকিম লোর দল। তবে শেষ পাঁচ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের দুর্দান্ত ফিরে আসায় ড্রয়ের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে জার্মানদের। জার্মানির সাথে ২-২ গোলে ড্র করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে পেছনে ফেলে ফাইনাল রাউন্ডে উঠে গেছে ডাচরা।

    মাত্র ৯ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানি। টিমো ওয়ার্নারের গোলে লিড পায় তাঁরা। দুই মিনিট পরেই নিজের দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন ওয়ার্নার, তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন কিলেসেন। ১৫ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় নেদারল্যান্ডস, মেমফিস ডিপের শট ঠেকিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার। ১৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লেরয় সানে। টনি ক্রুসের বাড়ান বলে বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন। তাঁর বা পায়ের শট ঠেকানোর কোনো উপায় ছিল না কিলেসেনের সামনে।

    প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন জার্মান ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু গোল আর হয়নি। অন্যদিকে ডাচরাও নয়্যারকে খুব একটা ব্যস্ত রাখতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ওয়ার্নারকে হতাশ করেন কিলেসেন। ৫৬ মিনিটে কুইন্সি প্রোমিস ডাচদের হয়ে ব্যবধান কমাতে পারতেন, তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন নয়্যার। ৬২ মিনিটে ওয়ার্নারের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

    ম্যাচের তখন পাঁচ মিনিট বাকি। নেদারল্যান্ডসের ফাইনাল রাউন্ডে ওঠার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। ঠিক তখনই মারটেন ডি রুনের বাড়ান বলে বক্সের বাইরে বল পেলেন প্রোমেস। ডান পায়ে নিয়ে জোরালো এক শট, শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হলেন নয়্যার।

    পরের রাউন্ডে যেতে ডাচদের তখনও দরকার আরও এক গোল। নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে জার্মানদের হতাশায় ডুবিয়ে ম্যাচে সমতা আনলেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক​। তাঁর গোলেই মহামূল্যবান পয়েন্ট পেল ডাচরা। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।

    ৪ ম্যাচে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট ৭। কিন্তু গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই ফাইনাল রাউন্ডে উঠে গেল ডাচরা।