• সিরি আ
  • " />

     

    ইন্টারকে হারিয়ে জুভেন্টাসের রেকর্ড

    ইন্টারকে হারিয়ে জুভেন্টাসের রেকর্ড    

    সিরি আ শিরোপার বিচারে ইতালিতে সফলতম দল দুটি তারা। এই মৌসুমে টেবিলের শীর্ষে জুভেন্টাস আর তিনে ইন্টার মিলান। ডার্বি ডি ইতালিয়া এই ম্যাচ নিয়ে উৎসাহের শেষ ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছরের মত এবারও ইতালির দুই পরাশক্তির লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল তুরিনের বুড়িরা। মারিও মানজুকিচের একমাত্র গোলে জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে ইন্টারকে ১-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থানটা আরও সুসংহত করেছে মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল। এক ম্যাচ বেশি খেলে দুইয়ে থাকা নাপোলির চেয়ে ১১ পয়েন্টে এগিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। আজকের জয়ে ১৫ ম্যাচ পর ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে সেরা সূচনার রেকর্ডে ভাগ বসাল জুভেন্টাস।

    নিজেদের মাঠে ইন্টারকে শুরু থেকেই চেপে ধরেছিল জুভেন্টাস। ম্যাচের ৮ মিনিটে রোনালদোর ক্রসে পাউলো দিবালার হেড চলে যায় গোলের সামান্য উপর দিয়ে। ১০ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন দিবালা, কিন্তু ডিবক্সের বাইরে থেকে তার জোরাল শট ফিরিয়ে দেন ইন্টার গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচ। শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক খেললেও প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইন্টারও। ১৭ মিনিটে ইভান পেরিসিচ ক্রস জর্জিও কিয়েলিনি ক্লিয়ার না করলে জুভেন্টাস গোলরক্ষক ওয়েচেক শেজনিকে একা পেয়ে যেতেন মাউরো ইকার্দি। সেই প্রতি-আক্রমণেই প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটা পেয়েছিল ইন্টার। দুই উইংয়ে পেরিসিচ এবং পোলিতানোর গতির কাছে বারবার হার মানতে হয়েছে জুভেন্টাসের রক্ষণভাগকে। সেই পোলিতানোর পাস থেকে জুভেন্টাস ডিবক্সে বল পান ইকার্দি। ডানপায়ের আলতো টোকায় পাস বাড়ান রবার্তো গাগলিয়ার্দিনিকে। কিন্তু শেজনিকে একা পেয়েও বল বারপোস্টে মারেন তিনি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে জুভেন্টাস। ইন্টারের সুযোগ মিসের সুবাদে ৩৮ মিনিটে আরেকটু হলেই লিডটা নিয়ে নিত জুভেন্টাস। কিন্তু দিবালার কর্ণার থেকে কিয়েলিনির হেড দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন হান্দানোভিচ। মিনিটখানেক পর কর্ণার থেকে হান্দানোভিচকে আবারও একা পেয়েছিলেন কিয়েলিনি। কিন্তু এবারও ইতালিয়ান ডিফেন্ডারকে খালি হাতেই ফিরিয়েছেন তিনি। প্রথমার্ধ গোল না খাওয়ার জন্য স্লোভেনিয়ান গোলরক্ষককে ধন্যবাদ জানাতেই পারে ইন্টারের ডিফেন্ডারেরা।

     

     

    প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও গোল মিসেই মেতেছিল ইন্টারের ফরোয়ার্ডরা। ৪৮ মিনিটে ব্লেইজ মাতুইদির ভুলে ডিবক্সে বল পেয়েও গোল করতে পারেননি পোলিতানো। এর মিনিট চারেক পর আবারও রক্ষণের ভুলে গোলের সুযোগ, এবার মার্টিন স্ক্রিনিয়ারের ভুলে ডিবক্সে বল পেয়েছিলেন মানজুকিচ। কিন্তু পোলিতানোর মত হতাশ করেছেন তিনিও। এই মিসের পর মানজুকিচের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকবার দুয়োধ্বনিও দিতে শোনা গেছে জুভেন্টাস সমর্থকদের। দুয়ো শুনেই যেন স্বরূপে ফিরেছেন এই ক্রোয়েশিয়ান।

    ৬৬ মিনিটে লেফটবয়াক হোয়াও ক্যান্সেলোর ক্রস থেকে ‘ট্রেডমার্ক’ হেডে দলকে লিড এনে মানজুকিচ। বুনো উল্লাসে মাতে জুভেন্টাস স্টেডিয়াম, হাসি ফোটে স্বভাবসুলভ গুরুগম্ভীর আলেগ্রির মুখেও। এই গোলের পরই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ইন্টার। শতচেষ্টা করেও কিয়েলিনি-বনুচ্চিদের ফাঁকি দিতে পারেননি ইকার্দিরা। গোলের আশায় লাউতারো মার্টিনেজ, কেইটা বালদেকে নামিয়েও লাভ হয়নি ইন্টার কোচ লুচিয়ানো স্পালেত্তির। রোনালদোরাও যে আক্রমনে দুর্দান্ত ছিলেন তা নয়। তবে নিজেদের মাঠ থেকে ঠিকই ৩ পয়েন্ট পেয়েছে তুরিনের বুড়িরা।