• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    বরখাস্ত হলেন হোসে মরিনহো

    বরখাস্ত হলেন হোসে মরিনহো    

    একদম বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই এলো ঘোষণাটা। এই মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বেশ ধুঁকছিল, সব দিক দিয়েই নানা সমালোচনা ধেয়ে আসছিল হোসে মরিনহোর দিকে। সর্বশেষ লিভারপুলের কাছে ৩-১ গোলে হারের পর আর চাকুরি বাঁচাতে পারলেন না মরিনহো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হোসে মরিনহো ক্লাব ছেড়েছেন।  এই মৌসুমে একজন অন্তর্বর্তীকালীন ম্যানেজার দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন, এর মধ্যে ক্লাব পূর্ণকালীন একজন কোচ খোঁজার কাজ চালিয়ে যাবে।

    ২০১৬ সালে লুই ফন গালের জায়গায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসেছিলেন মরিনহো। প্রথম মৌসুমে ইউরোপা লিগ ও লিগ কাপ জিতেছিলেন, যদিও লিগে শীর্ষ চারের মধ্যে থাকা হয়নি। গত মৌসুমে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে থেকে লিগে দ্বিতীয় হয়েছিল ইউনাইটেড, এফএ কাপের ফাইনালে গিয়েও হারতে হয়েছিল। শিরোপাবঞ্চিত একটা মৌসুমের পর তৃতীয় মৌসুমে এসে দেখতে শুরু করেন মুদ্রার উল্টো পিঠ। এই মৌসুমে শুরুর আগেই বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম নেওয়ার মানসিকতার সমালোচনা করেছিলেন মরিনহো। মৌসুম শুরুর পর থেকেই ইউনাইটেড উল্টো পথে চলতে শুরু করে। এর মধ্যে টটেনহামের কাছে তিন গোলে হারের পর ‘রেসপেক্ট, রেসপেক্ট, রেসপেক্ট’ বলে আরও এক দফা সমালোচনার জন্ম দেন মরিনহো।

     

    এদিকে মাঠের বাইরেও সময়টা খারাপ হতে শুরু করে। পল পগবাকে অধিনায়কত্ব দিয়েও পরে তা কেড়ে নেন। এর মধ্যে পগবাকে একাদশের বাইরে বসিয়ে রাখেন, লিভারপুলের সঙ্গে ম্যাচে বদলি হিসেবেও নামাননি। সেই ম্যাচ হারের পর মরিনহো শিরোপা সম্ভাবনা শেষ, সেটাও স্বীকার করে নেন। লিভারপুলের কাছে হেরে ১৭ ম্যাচে ইউনাইটেডের পয়েন্ট হলো ২৬, ১৯৯০-৯১ সালের পর ইউনাইটেদের এত খারাপ অবস্থা ছিল না কখনো। চারে থাকা চেলসির চেয়ে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে ইউনাইটেড, শীর্ষ চারে থাকতে হলেও করতে হলো অবিশ্বাস্য কিছু। এর মধ্যে ইউনাইটেডের প্রধান নির্বাহী এড উডওয়ার্ডের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত বড়দিনের আগেই বরখাস্তের ঘোষণা পেলেন মরিনহো।

    পেশাদার ক্যারিয়ার শুরুর পর এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার লিগ না জিতেই কোনো ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়তে হলো মরিনহোকে। প্রথমবারের ক্লাব পর্তুগালের উনাইও ডে লেরিয়ার হয়ে ২০০১-০২ মৌসুমে দায়িত্বে ছিলেন অবশ্য মাত্র ২০টি ম্যাচ। এরপর পোর্তো, ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ থেকে নিজের ইচ্ছায় ক্লাব ছাড়তে পারলেও সর্বশেষ চেলসির পর এবার ইউনাইটেড থেকেও ছাঁটাই হতে হলো মরিনহোকে।