বর্ণবাদী মন্তব্যে ম্যাচ বয়কটের হুমকি আনচেলত্তির
ম্যাচের তখন ৮১ মিনিট, তখনও গোল করতে পারেনি দুই দলই। ইন্টার মিলানের মাতেও পোলিতানোকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন নাপোলির কালিদু কৌলিবালি। রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গাত্তক হাততালি দিয়ে দেখলেন লাল কার্ডও। রাগে গজরাতে গজরাতে মাঠ ছেড়েছেন কৌলিবালি, ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে হারতে হয়েছে নাপোলিকে। নাপোলি কোচ কার্লো আনচেলত্তি অভিযোগ, পুরো ম্যাচেই বর্ণবাদী মন্তব্য শুনে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছিলেন কৌলিবালি। আনচেলত্তি হুশিয়ারি দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এমন হলে নাপোলির সবাই মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে আসবেন।
ম্যাচের পর আনচেলত্তি জানিয়েছেন, ম্যাচের শুরু থেকেই গ্যালারি থেকে কৌলিবালিকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবাদী মন্তব্য করেছে ইন্টারের সমর্থকরা। রেফারি ও সহকারি রেফারিদের এই ব্যাপারটা জানানো হয়েছিল নাপোলির পক্ষ থেকে। তিনবার খেলা বন্ধ করার আবেদন করা হলেও সেটা রাখা হয়নি, দাবি আনচেলত্তির। শুধু স্টেডিয়ামের দর্শকদের এই ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য কর্তৃপক্ষ একটা ঘোষণা দিয়েছে। দর্শকের দিকে বেশ কয়েকবার তেড়েফুঁড়েও গিয়েছিলেন কৌলিবালি, তাঁকে শান্ত করেছেন ইন্টারের ফুটবলাররাই।
আনচেলত্তি বলছেন, ভবিষ্যতে নাপোলির কারো সাথে এরকম করা হলে তাঁরা মাঠ ছেড়ে বের হয়ে যাবেন, ‘যদি এরকম আবার হয়, আমরা খেলা বন্ধ করে মাঠ ছাড়বো। যদি এতে আমাদের হারতেও হয় তাও মেনে নেবো। আমরা কৌলিবালির বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো ফল পাইনি। তিনবার খেলা বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছিলাম, সেটাও রাখা হয়নি।’
বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণেই শেষ মুহূর্তে মেজাজ হারিয়েছেন কৌলিবালি, দাবি আনচেলত্তির, ‘বাজে মন্তব্য শুনতে শুনতে সে নিজের ধৈর্য আর ধরে রাখতে পারেনি। যা হয়েছে সেটা শুধু আমাদের জন্য না, ইতালিয়ান ফুটবলের জন্যই খারাপ। কৌলিবালির লাল কার্ডের প্রভাব ম্যাচেও পড়েছে, আমরা ১০ জনের দল নিয়ে গোল খেয়ে ম্যাচ হেরেছি।’
সান সিরোতে দর্শকের এমন আচরণের বিরুদ্ধে সিরি আ কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগও জানাবে নাপোলি।