ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে খেলার পর বদলে গেছে যার জীবন
জীবনে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। দর্শকপূর্ণ ওয়ান্ডারার্স, ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো ম্যাচ। বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি দলকে হারানো, সঙ্গে সিরিজ জয়। লুথো সিপামলার সঙ্গে আজীবন থাকবে এ ম্যাচের স্মৃতি। সিপামলার মাথা ঠান্ডা রেখে করা বোলিংয়ে রোমাঞ্চিত অনেকেই, আরেকজন বিস্ফোরক দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার পাওয়ার আশাও করছেন তারা। আর সিপামলা বলছেন, তার জীবনটা বদলে গেছে মূলত এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে খেলার পরই।
২০ বছর বয়সী পেসার খেলেছিলেন ডি ভিলিয়ার্সের অধীনে এমজানসি সুপার লিগের দল টিশওয়ান স্পার্টানসের হয়ে। তার দল খুব একটা ভাল করেনি, তবে আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন সিপামলা। ইনিংসের শুরু বা শেষে দারুণ বোলিংয়ের সে টুর্নামেন্টের পরই নির্বাচকদের নজর কেড়েছেন, আর তার ঝুলিতে গেছে ডি ভিলিয়ার্সের অধিনায়কত্বে খেলার অমূল্য অভিজ্ঞতা।
“আমি এবির সঙ্গে খেলে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তার সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করে। তার সঙ্গে খেলাটা আমার জীবন বদলে দিয়েছে”, বলেছেন সিপামলা, “তার উপস্থিতি আপনাকে শান্ত করবে, কারণ সে আপনার সঙ্গে কথা বলবে, তার পরিকল্পনার ব্যাপারে বলবে। তার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছি, কারণ মাঝে মাঝে সে আমাকে নিজের ফিল্ডিং সাজানোর সুযোগ দিত আমি কিভাবে বোলিং করব সেটা অনুযায়ী।”
সিপামলার সে অভিজ্ঞতা ভালই কাজে লেগেছে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। উইকেট পাননি, তবে দারুণ আঁটসাঁট বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৫ রান, হাই-স্কোরিং ম্যাচে সবচেয়ে কিপটে বোলিং ছিল তারই। এ ম্যাচে খেলাটা তার আজীবনের লালিত স্বপ্ন বলেও জানিয়েছেন সিপামলা।
আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে নিজের গতি নিয়ে দারুণ বৈচিত্র দেখিয়েছেন সিপামলা। এদিন তাকে সহায়তা করেছেন অধিনায়ক ডেভিড মিলার, “আমি যেভাবে বোলিং করতে চাই, সে সেভাবেই করতে দিয়েছে। যখন সে আমাকে আনে, আমাদের অবস্থা সুবিধার ছিল না। আমরা ঠিক লাইনে বোলিং করছিলাম না। সে আমাকে সোজাসুজি বোলিং করতে বলেছে, রান-রেটের নিয়ন্ত্রণ আনতে বলেছে। উইকেট নেওয়ার চেয়ে রানের গতি নিয়ন্ত্রণের দিকেই বেশি নজর ছিল আমার।”