'জাদুকরী' রশিদের চারে চার
স্কোর
আফগানিস্তান ২০ ওভারে ২১০/৭ ( নবী ৮১, জাজাই ৩১; রানকিন ৩/৫৩)
আয়ারল্যান্ড ২০ ওভারে ১৭৮/৮ ( ও'ব্রায়েন ৭৪, বালবিরনি ৪৭; রশিদ ৫/২৭)
আফগানিস্তান ৩২ রানে জয়ী
২১১ রানের লক্ষ্যে তখন ভালোভাবেই এগুচ্ছে আয়ারল্যান্ড। একপ্রান্তে কেভিন ও'ব্রায়েন একাই আইরিশদের জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তখনই বোলিংয়ে এলেন রশিদ খান। নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ফেরালেন ব্রায়েনকে। পরের ওভারের প্রথম তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে একাই ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচে মোড়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম স্পিনার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন রশিদ, নিয়েছেন চার বলে চার উইকেটও। তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই আয়ারল্যান্ডকে ৩২ রানে হারিয়ে ৩-০তে সিরিজ জিতল আফগানিস্তান।
রান তাড়া করতে নেমে নিজেদের প্রথম দশ ওভারেই আইরিশরা তোলে এক উইকেটে ১০০ রান। ইনিংসের ১১ তম ওভারে রশিদ খান বোলিংয়ে আসেন। প্রথম ওভারে দিয়েছেন আট রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম পাঁচ বলে দেন ১১ রান। শেষ বলে তাকে মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক শফিকুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দেন কেভিন ও'ব্রায়েন।
রশিদের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হন জর্জ ডকরেল। লং অনে দৌড়ে গিয়ে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন মোহাম্মদ নবী। পরের বলে ক্রিজ ছেড়ে রশিদকে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন শন গেটকেট, টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হ্যাটট্রিক পান রশিদ। স্পিনারদের মাঝে তিনিই প্রথম বোলার হিসেবে এই কীর্তি করলেন।
রশিদ ম্যাজিক তখনো শেষ হয়নি। পরের বলে সিমি সিংকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে টানা চার বলে চার উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়েন তিনি। টি-টোয়েন্টি এর আগে কেউই এটা করতে পারেননি। নিজের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে জশুয়া লিটলকে বোল্ড করে পাঁচ উইকেট তুলে নেন রশিদ, টি-টোয়েন্টিতে এটি তার দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট শিকার। সপ্তম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি পাঁচ উইকেটও পেলেন রশিদ। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান ম্যাচটি জেতে ৩২ রানে, সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে আইরিশরা।