• প্রীতি ম্যাচ
  • " />

     

    হেসুসের জোড়া গোলে শেষ হাসি ব্রাজিলের

    হেসুসের জোড়া গোলে শেষ হাসি ব্রাজিলের    

    আগের ম্যাচে পানামার বিপক্ষে ড্রয়ের পর আজ আরও এক হতাশাজনক ফলাফল চোখ রাঙ্গাচ্ছিল ব্রাজিলকে। যেই চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে পাঁচ গোল করেছিল ইংল্যান্ড, ম্যাচের মিনিট ছয়েক বাকি থাকতে তাদের সাথে ড্রয়ের দিকে এগুচ্ছিল 'সেলেসাও'রা। কিন্তু কয়েকদিনের মাথায় ব্রাজিলকে দু'বার হতাশ হতে দিলেন না গ্যাব্রিয়েল হেসুস। ঘণ্টাখানেক আগে আর্জেন্টিনার মত শেষদিকে গোলে জিতে গেল ব্রাজিল। তবে আর্জেন্টিনার মত এক গোল নয়, শেষদিকে ব্রাজিল করল জোড়া গোল। হেসুসের জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়েও প্রাগের সিনোবো স্টেডিয়ামে চেকদের ৩-১ গোলে হারাল ব্রাজিল।

    ১-১ গোলের সমতা থাকার সময় গোলের আশায় হেসুসকে নামিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। তবে হেসুস গোল করলেও ব্রাজিলের জয়ের পার্শ্বনায়কের ভূমিকায় ছিলেন আরও দুজন বদলি ব্রাজিলিয়ান, আর্থার মেলো এবং ডেভিড নেরেস। ৮৩ মিনিটে আর্থারের ডিফেন্সচেরা পাসে বল পেয়ে যান 'সেলেসাও'দের হয়ে আজ অভিষেক হওয়া নেরেস। নিজেই শট নিতে পারতেন, কিন্তু নিঃস্বার্থভাবে পাস বাড়ান হেসুসের দিকে। গোলের সামনে থেকে ভুল করেননি সিটির স্ট্রাইকার।

     

     

    এক গোলের লিড, সব মিলিয়ে ঘড়িতে বাকি তখনও মিনিট দশেক। চেকদের ফেরার তখনও ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেটাও নিঃশেষ করে দিয়েছেন হেসুসই। ৯০ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে তার প্রথম শট চেক গোলরক্ষক পাভেল কাদেরাবেক ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বলে চেকদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন তিনি। হেসুসের জন্যই তিতের দল ফিরেছে হাসিমুখেই।

    ম্যাচের শেষদিকে যতটা দুর্দান্ত ছিল ব্রাজিল, শুরুর দিকে ছিল ঠিক ততটাই সাদামাটা। প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল চেকরাই। ২১ মিনিটে প্যাট্রিস শিকের ফ্রিকিক দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। তবে ৩৭ মিনিটে লিড ঠিকই নিয়েছে চেকরা। ব্রাজিলের রক্ষণের ভুলে ডিবক্সে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে বাঁ-পায়ের জোরাল শটে অ্যালিসনকে পরাস্ত করেন ডেভিড পাভেলকা। গত সপ্তাহেই ইংলিশদের কাছে পাঁচ গোল হজম করা চেকরা লিড নিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই সিনোবো স্টেডিয়ামে তখন কান পাতা দায়।

     

     

    ব্রাজিলের রক্ষণের ভুলে লিড নিয়েছিল চেকরা। ৪৯ মিনিটে সেই চেকদের রক্ষণের ভুলেই সমতায় ফেরে ব্রাজিল। জেব্রে সেলাসির ভুল পাসে ডিবক্সে বল পেয়ে দলকে সমতায় ফেরান লিভারপুলের ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো। এরপরই ম্যাচে ফিরতে থাকে ব্রাজিল। নেরেস, আর্থার এবং হেসুস নামার পর আক্রমণাত্মক ব্রাজিলকে আর ঠেকাতে পারেনি চেকরা। 'সেলেসাও'রা লিড নিয়েছিল এই ত্রয়ীর দুর্দান্ত বোঝাপড়ায়ই।

     

     

    হেসুসের দ্বিতীয় এবং ব্রাজিলের তৃতীয় গোলেও অবদান ছিল আর্থার, নেরেসের। হেসুস জোড়া গোল করলেও ব্রাজিলের জয়ে নেরেস, আর্থারের ভূমিকাও কম নয় কোনও অংশেই। প্রথম ম্যাচে নেমেই করলেন বাজিমাত, দল পেল জয়। এর চেয়ে বেশি আর কীইবা চাইতে পারতেন নেরেস!