• সিরি আ
  • " />

     

    রোনালদোর অনুপস্থিতিতে জুভেন্টাসকে জেতালেন কিন

    রোনালদোর অনুপস্থিতিতে জুভেন্টাসকে জেতালেন কিন    

    ইতালির হয়ে ইউরো বাছাইপর্বের দুই ম্যাচেই করেছেন গোল। জুভেন্টাসের হয়েও এই মৌসুমে সমান উজ্জ্বল মইসে কিন। ইনজুরির কারণে আজ ছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, তারপরও এম্পোলির বিপক্ষে কিনকে বেঞ্চে রেখেছিলেন মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। গোলের আশায় আলেগ্রি দ্বিতীয়ার্ধে নামিয়ে দিয়েছিলেন তাকে, কোচের আস্থার প্রতিদানও দিলেন কিন। বদলি হয়ে নামা কিনের একমাত্র গোলে তুরিনে এম্পোলিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস। নিজের শেষ ৩ ম্যাচেই গোলের দেখা পেলেন কিন।

    আজ জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে প্রথম একাদশে দারুণ ফর্মে থাকা কিনের অভাব হয়ত কিছুটা বিস্ময়করই ছিল। তবে পাউলো দিবালা, ফ্রেডেরিকো বের্নার্দেশি এবং মারিও মানজুকিচের গড়া জুভেন্টাসের আক্রমণও যেকোনও রক্ষণকে হিমশিম খাওয়াতে পারদর্শী। তবে নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন দিবালারা। গোলমুখে তো সুযোগই পাননি, উল্টো ভাগ্য সহায় হলে হয়ত লিড নিতে পারত এম্পোলিই। কিন্তু ১৩ মিনিটে ডিবক্সে সামান্য বাইরে থেকে ক্রুনিচের শট চলে যায় জুভেন্টাসের বারপোস্ট ঘেঁষে।

     

     

    শুরুতেই এম্পোলির গোছানো আক্রমণে অগোছালো হয়ে পড়ে জুভেন্টাস। প্রথমার্ধে গোলের প্রথম এবং একমাত্র সুযোগ পেতে আলেগ্রির দলের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩১ মিনিট পর্যন্ত। ব্লেইজ মাতুইদির ক্রসে মানজুকিচের হেড দক্ষহাতে ফিরিয়ে দেন এম্পোলি গোলরক্ষক দ্রাগোওস্কি। ৫-৪-১ রক্ষণে দিবালাদের এতটুকু জায়গা দেননি এম্পোলির ডিফেন্ডারেরা। মাঝামাঠে মিরালেম পিয়ানিচদের সাথে বোঝাপড়ার অভাবটাও বেশ ভুগিয়েছে তুরিনের বুড়িদের।

     

     

    প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে রীতিমত গলদঘর্ম হয়েছে আলেগ্রির দলের। ৪৭ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ থেকে বের্নার্দেশির জোরাল শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন দ্রাগোওস্কি। গোলের আশায় মাতুইদিকে উঠিয়ে ৭০ মিনিটে কিনকে নামিয়ে দেন আলেগ্রি। আবারও সামর্থ্যে জানান দিতে মাত্র মিনিট দুয়েক নেন কিন। ৭২ মিনিটে জর্জিও কিয়েলিনির লম্বা পাসে হেড করে কিনকে পাস বাড়ান মানজুকিচ। ডানপায়ের জোরাল হাফভলিতে দলকে লিড এনে দেন কিন।

     

     

    প্রথম দিকে পাওয়া সুযোগ কাজে না লাগাতে পারার চড়া মূল্যই দিতে হয়েছে এম্পোলিকে। ব্যবধানটা দ্বিগুণও করতে পারতেন কিন। কিন্তু ৭৮ মিনিটে দ্রাগোওস্কিকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। হেরে গেলেও পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন এম্পোলি গোলরক্ষক। তবে শেষ হাসিটা হেসেছেন কিনই। ইতালিয়ান ফুটবলের নতুন বরপুত্রের আগমনী বার্তা এবার বেশ ভালমতোই শুনেছে ইউরোপ।