• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    'লিগ না জেতার আক্ষেপ ঘোচাতে পারবে না চ্যাম্পিয়নস লিগও'

    'লিগ না জেতার আক্ষেপ ঘোচাতে পারবে না চ্যাম্পিয়নস লিগও'    

    একটা সময় ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে সাত পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন তাঁরা। সেই লিডটা লিভারপুল হারিয়েছে অনেক আগেই। ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষে আছে সিটিজেনরাই, লিভারপুলের পয়েন্ট ৯৪। উলভসের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতলেও তাই লিভারপুলের শিরোপা স্বপ্নটা অধরাই থেকে যাবে, যদি অন্য ম্যাচে সিটি ব্রাইটনকে হারিয়ে দেয়। লিভারপুল ডিফেন্ডার আলেকজান্ডার আর্নল্ড বলছেন, শেষ দিনে এসে শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপটা ঘোচাতে পারবে না চ্যাম্পিয়নস লিগে ফাইনালে খেলার সাফল্যটাও।

    বার্সেলোনার বিপক্ষে সেই অবিশ্বাস্য সেমিফাইনাল জয়ে বড় ভূমিকা ছিল আর্নল্ডেরও। ৭৯ মিনিটে কর্নার থেকে তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত পাসেই বল পেয়ে গোল করেছিলেন ডিভোক অরিগি, সেই গোলেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠে লিভারপুল।

    সেদিনের মতো জয় পেলেও অবশ্য আজ সেটা কাজে দেবে না লিভারপুলের। সিটি ব্রাইটনকে হারাতে পারলেই লিভারপুলের ২৯ বছর পর লিগ জেতার স্বপ্নটা স্বপ্নই রয়ে যাবে। আজ সেরকম কিছু হলে সেটা সহ্য করা কঠিন হবে বলেই স্বীকার করলেন আর্নল্ড, ‘আমরা যদি লিগে দ্বিতীয় হই, তাহলে চ্যাম্পিয়নস লিগের সাফল্য সেই ক্ষতে মলম লাগাতে পারবে না। সবাই খুব বেশি কষ্ট পাবে শিরোপা হাতছাড়া হলে। লিগ জেতার জন্য আমরা অনেক বেশি পরিশ্রম করেছি এবার। দুই টুর্নামেন্টেই আমরা সমান জোর দিয়েছিলাম। গতবারও আমরা শিরোপা জিততে পারতাম, কিন্তু সিটি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।’

    সিটির ম্যাচের কথা না ভেবে উলভসের বিপক্ষে ম্যাচে জয় নিয়েই সব ভাবনা লিভারপুলের, জানালেন আর্নল্ড, ‘আমাদের এখন উলভসকে হারাতে হবে প্রথমে। এরপর যা হয় দেখা যাবে। সবশেষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল তো আছেই। আমরা সেখানে চেষ্টা করব আগেরবারের চেয়ে ভালো করার। লিভারপুল যে আগের মৌসুমের চেয়ে উন্নতি করেছে, সেটা প্রমাণ করে শিরোপা লড়াই শেষদিনে নিষ্পত্তি হওয়া ও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা।’

    মৌসুম শেষে যদি কোন শিরোপা নাও জেতে লিভারপুল, তাও তাদের অনেক বেশি সম্মান করবে অন্যরা, দাবি আর্নল্ডের, ‘আমরা প্রমাণ করেছি যে মাঠে আমাদের ভয় পাওয়া উচিত। ইউরোপের সেরাদের মাঝে থাকাটাই অনেক বড় ব্যাপার। বার্সার বিপক্ষে ম্যাচের পরেই সবাই আমাদের অনেক বেশি সম্মান দেখাচ্ছে। এটা অনেক বড় পাওয়া।’