টাইব্রেকারে জিতে তৃতীয় হয়ে শেষ করল ইংল্যান্ড
ইউয়েফা নেশনস লিগের তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচ। এমন ম্যাচ নিয়ে সাধারণত আগ্রহেরও কমতি থাকে খেলোয়াড়দের। কিন্তু সেই ম্যাচটাই পেল নাটকীয় এক সমাপ্তি। নির্ধারিত সময়ের পর দরকার হলো এক্সট্রা টাইম। সেখানেও মীমাংসা হলো না। গোল করতে পারল না কোনো দলই। এরপর টাইব্রেকারেও নির্ধারিত ৫ স্পটকিকে সফল দুইদল। সাডেন ডেথের প্রথম শটে সফল ইংল্যান্ড, কিন্তু জসিপ ড্রমিচকে আটকে দিলেন জর্ডান পিকফোর্ড। তাই টাইব্রেকারে ৬-৫ এ জিতে তৃতীয় স্থানটা পেয়েছে ইংল্যান্ড।
১২০ মিনিটের খেলা শেষ হয়েছে গোলশূন্যভাবেই। সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সমার অবশ্য বাধা না হয়ে দাঁড়ালে আগেই গোল পেয়ে যেত ইংল্যান্ড। পুরো ম্যাচে অন্তত চারটি দুর্দান্ত সেভ করে সুইসদের ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন সমার। ৮৪ মিনিটে অবশ্য বদলি নামা কলাম উইলসন একবার গোলও করেছিলেন, কিন্তু ভিএআরে পরে বাতিল হয়েছে গোল। বিল্ড আপে ফাউল করেছিলেন তিনি।
হ্যারি কেইন শুরু থেকেই ছিলেন একাদশে। তবে তিনি উঠে যাওয়ার পরও সুযোগের অভাব হয়নি ইংল্যান্ডের। নির্ধারিত সময়ে না পারলেও এক্সট্রা টাইমে কাজটা প্রায় করেই ফেলেছিল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। রাহিম স্টার্লিং পেয়েছিলেন সেরা সুযোগগুলো। হেডে অবশ্য দক্ষ নন তিনি, তাই ৯৪ মিনিটে ভালো ক্রস পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। আর ১১৬ মিনিটে সমারকে হারাতে পারলেও ফ্রি কিক থেকে ডাইরেক্ট গোল পাননি বারপোস্টের কারণে।
পুরো ম্যাচে দারুণ খেলা সমারকে পরে হার মানতে হয় টাইব্রেকারে গিয়ে। এই ম্যাচ নিয়ে তেমন চাপে ছিল না কেউই। মানসিকতা শক্ত থাকলে টাইব্রেকারে কী হয় সেটাই দেখিয়েছিলে দুই দল। প্রথম ১১ পেনাল্টি কিকেই সফল সবাই। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের পঞ্চম কিকটি নিয়েছেন জর্ডান পিকফোর্ড নিজেই। এর কিছুক্ষণ পরই নিজের আসল কাজ করে ড্রমিচকে পিকফোর্ড আটকে দিলে আরও একবার টাইব্রেকারে জয় পায় ইংল্যান্ড। গত বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের জয়েও ইংল্যান্ডের নায়ক ছিলেন পিকফোর্ড। এবার অবশ্য উল্লাস বা উদযাপন স্বাভাবিক কারণেই তেমন রঙ ছড়ায়নি পর্তুগালের মাঠে। তাতে কী, জয় তো জয়ই!