• কোপা আমেরিকা
  • " />

     

    কিক অফের আগে: তিতের চক্রপূরণ হচ্ছে, লক্ষ্য পূরণ কি হবে?

    কিক অফের আগে: তিতের চক্রপূরণ হচ্ছে, লক্ষ্য পূরণ কি হবে?    

    কবে, কখন
    ব্রাজিল-পেরু
    রাত ১টা, সাও পাওলো

    ব্রাজিলের কোচ হিসেবে তৃতীয় বছর পূর্তি করেছেন তিতে। ২০১৬ কোপা আমেরিকা সেন্টানারিওতে পেরুর বিপক্ষে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বাদ পড়েছিল ব্রাজিল। এরপর চাকরি হারিয়েছিলেন দুঙ্গা। তার জায়গায়তেই এসেছিলেন তিতে। এই তিন বছরে ব্রাজিল কোচ ম্যাচ হেরেছেন হাতে গোণা অল্পকয়টি। কিন্তু  বর্ষপূর্তির দুইদিন পর যখন পেরুর বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছে তিতের দল, তখন বেশ চাপেই পড়ে গেছেন তিনি। কোপা তিতের শেষ সুযোগ। আর ঘরের মাঠে তো বটেই, যে কোনো টুর্নামেন্টেই ব্রাজিলের সাফল্যের মাপকাঠি বরাবর শিরোপা। বিশ্বকাপে পার পেয়ে গেলেও, এবার হয়ত পাবেন না।

    কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের পারফরম্যান্স অধারাবাহিক হলেও, সমর্থকদের দুয়ো চলছে নিয়ম করেই।  বলিভিয়ের পর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচেও সমর্থকদের দুয়ো শুনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ব্রাজিলকে। প্রথম ম্যাচে জিতলেও পরের ম্যাচটা ব্রাজিলের জন্য হয়েছে আরও দুর্বিষহ। তিনবার ভিএআরে গোল বাতিল হয়েছে তাদের। পরে গোলশুন্য থাকতে হয়েছে টুর্নামেন্ট ফেভারিটদের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে যখন প্রতিপক্ষ পেরু, তখন আর ভুলের সুযোগ নেই ব্রাজিলের। অনাকাঙ্ক্ষিত ফল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে ফেলতে পারে তিতের দলকে। যদিও সেই সম্ভাবনা ক্ষীণই, তবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে জয় ছাড়া পথ নেই ব্রাজিলের। ভেনেজুয়েলা শেষ ম্যাচে বলিভিয়াকে হারিয়ে দিলে তাদের পয়েন্ট হবে ৫। পেরুকে হারালেই কেবল সেক্ষত্রে ব্রাজিলের পয়েন্ট হবে ভেনেজুয়েলার চেয়ে বেশি।

    সাও পাওলোতে তাই আরেকবার দুয়ো শোনার হাত থেকেই রেহাই পাওয়াই আপাতত তিতের দলের লক্ষ্য। পেরু তাদের প্রথম ম্যাচে গোলশুন্য ড্র করেছিলে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে। এরপর বলিভিয়ার সঙ্গে তারা জিতেছে ৩-১ ব্যবধানে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তাদের অবস্থান দুইয়ে। ব্রাজিলের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পেলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলাও। তাই পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটা আর যাই হোক সহজ হবে না ব্রাজিলের জন্য।

    প্রতিপক্ষ নিয়ে অবশ্য না ভাবলেও চলছে ব্রাজিলের। সেলেসাওদের যত সমস্যা সব নিজেদের নিয়েই। প্রত্যাশামত এখনও খেলতে পারেনি ব্রাজিল। এ কারণেই যত সমস্যা। নইলে পেরুর মতো দলের পাত্তা পাওয়ার কথা ছিল ব্রাজিলের কাছে। গোলরক্ষক বিশ্বসেরাদের একজন, রক্ষণেও সমস্যা নেই তেমন। ব্রাজিলের দুশ্চিন্তা মিডফিল্ডে সৃজনশীলতার অভাব, আর  অ্যাটাকিং থার্ডে খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্তহীনতা। গত বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ যাওয়ার পর তিতে বলেছিলেন, দল পরিবির্তনে সময় মতো সিদ্ধান্ত নেননি বলে তিনি আফসোস আছে তার। এবার কি ভুল থেকে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি?

    আগের ম্যাচে মিডফিল্ডে ফিরেছিলেন আর্থার মেলো। আক্রমণে রবার্তো ফিরমিনো, ডেভিড নেরেস, রিচার্লিসনরাই খেলেছেন। পরে নামা গ্যাব্রিয়েল হেসুস আর এভারটন আক্রমণে ধার বাড়িয়েছিলেন। দুই ম্যাচের বিচারে ব্রাজিলের আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ধারলো ছিলেন এভারটনই। ২৩ বছর বয়সি গ্রেমিও স্ট্রাইকারকে এবার সুযোগটা কি দেবেন তিতে? নাকি এবারও দেরি করবেন পরিবর্তন আনতে? ব্রাজিলের এই আক্রমণের ভাগের সঠিক সমন্বয়টা খুঁজে পাওয়াই আসল চ্যালেঞ্জ তিতের জন্য।

    দলের খবর
    মিডফিল্ডে ব্রাজিলের পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম। তবে আক্রমণে পরিবর্তন সময়ের ব্যাপার। নেরেস দুই ম্যাচই খেলেছেন, আহামরি কিছু করতে পারেননি। তার জায়গায় এভারটন নামতে পারেন। আর ফিরমিনো না হেসুস সেই প্রশ্নের জবাব কেবল তিতেরই জানা।

    আগের ম্যাচে ব্রাজিলের রক্ষণকে চাপে রেখেছিলেন সোলোমন রন্ডন। এবার জেফারসন ফারফান আর রাফায়েল গেরেরো- দুইজন আছেন ব্রাজিলের রক্ষণ বাজিয়ে দেখতে। ভেনেজুয়েলার চেয়ে বোড় পরীক্ষা আশা করতেই পারেন দানি আলভেজরা।

    সম্ভাব্য একাদশ
    ব্রাজিল

    অ্যালিসন, আলভেজ, সিলভা, মার্কিনহোস, ফিলিপে লুইস, কাসেমিরো, আর্থার, রিচার্লিসন, কুতিনিয়ো, ফিরমিনো, এভারটন 

    হেড টু হেড
    শেষ ১৮ ম্যাচে মাত্র একবারই পেরুর বিপক্ষে হেরেছে ব্রাজিল। সেই হারটা গত কোপা আমেরিকায়। আর কপা আমেরিকায় ১৭ বার পেরুর মুখোমুখি হয়ে ব্রাজিল হেরেছে মাত্র তিনবার। ৩৪ গোল দিয়ে ব্রাজিল হজম করেছে ১৩ টি।

    প্যাভিলিয়ন প্রেডিকশন ব্রাজিল ২-০ পেরু