কোয়ার্টারে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে, কলম্বিয়ার চিলি
জিতলেই নিশ্চিত হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। এমন সমীকরণকে সামনে রেখে গ্রুপ সি এর শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল জাপান-ইকুয়েডর। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে জাপানকে উল্লাসে ভাসিয়েছিলেন ১৮ বছরের তরুণ মিডফিল্ডার তাকেফুসা কুবো। কিন্তু জাপানের সেই উল্লাসটা টিকলো কয়েক মিনিট, ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি বাতিল করলেন গোল। শেষ পর্যন্ত জিততে পারল না কোন দলই। ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল ইকুয়েডর ও জাপান। জাপানের সাথে পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পরের রাউন্ডে গেছে গ্রুপ বি এর তৃতীয় স্থানে থাকা প্যারাগুয়ে।
এ গ্রুপে তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেরা তৃতীয় দলের একটি হিসেবে কোয়ার্টার খেলা নিশ্চিত ছিল পেরুর। বি গ্রুপে তিন ম্যাচে প্যারাগুয়ের পয়েন্ট ২, গোল ব্যবধান -১। সি গ্রুপে জাপানের পয়েন্ট ছিল ১, ইউকুয়েডরের শূন্য। জাপান-ইকুয়েডর ম্যাচের জয়ী দলের পয়েন্ট হতো প্যারাগুয়ের চেয়ে বেশি।
কোয়ার্টারে খেলার পথে এগিয়ে গিয়েছিল জাপানই। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচের ১৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন শোয়া নাকাজিমা। ২৫ গজ দূর থেকে দারুণ এক শটে বল জালে জড়ান তিনি। সেই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি জাপান। ৩৫ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান ইকুয়েডরের অ্যানহেল মেনা।
এরপর আর গোল হয়নি ম্যাচে। ৯৪ মিনিটে জাপানের ডায়যেন মায়েদার শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন ইকুয়েডর কিপার। পরের মিনিটেই নাকাজিমার থ্রু বলে গোল করে জাপানকে এগিয়ে দেন তাকেফুসা। পরে ভিএআরে দেখা যায়, তাকেফুসা অফসাইড ছিলেন, বাতিল হয় গোল। ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় জাপানের পয়েন্ট দাঁড়ায় ২। তবে তাদের গোল ব্যবধান -৪। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই তাই কোয়ার্টারে চলে গেছে প্যারাগুয়ে।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে এডিসন কাভানির গোলে চিলিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টারে গেছে উরুগুয়ে। ৮২ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন কাভানি। তিন ম্যাচে উরুগুয়ের পয়েন্ট ৭, চিলির ছয়।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে প্যারাগুয়ে। আর্জেন্টিনা খেলবে ভেনেজুয়েলার সাথে। কলম্বিয়ার প্রতিপক্ষ চিলি, উরুগুয়ে খেলবে পেরুর বিপক্ষে।