• কোপা আমেরিকা
  • " />

     

    চিলিকে চমকে দিয়ে ৪৪ বছর পর কোপার ফাইনালে পেরু

    চিলিকে চমকে দিয়ে ৪৪ বছর পর কোপার ফাইনালে পেরু    

    শেষ কবে কোপার ফাইনালে খেলেছিল পেরু, সেটা বোধহয় দেশটির ফুটবল সমর্থকরা ভুলতেই বসেছে। সেই ১৯৭৫ সালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পেরু। এরপর দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময়জুড়ে ফাইনালে উঠতে পারেনি তাঁরা। অবশেষে শেষ হচ্ছে তাদের দীর্ঘ ৪৪ বছরের অপেক্ষা। কোপার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন চিলিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে পৌঁছে গেছে পাউলো গুরেরোর দল। 

    অথচ ম্যাচের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে বোঝার উপায়ই নেই চিলিকে কীভাবে নাকানি চুবানি খাইয়েছে পেরু। মাত্র ৩৪ শতাংশ সময় বল ছিল পেরুর পায়ে, পাস সফল হয়েছে মাত্র ৬৮ শতাংশ। পেরুর শটস অন টার্গেট তিনটি, সেই তিনটিতেই গোল পেয়েছে তাঁরা। অন্যদিকে সাতটি শটস অন টার্গেটেও গোলের দেখা পাননি সানচেজরা। 

    ২১ মিনিটেই চিলিকে চমকে দিয়ে এগিয়ে যায় পেরু। আন্দ্রে ক্যারিলোর পাসে বল পেয়ে দারুণ এক ভলিতে বল জালে জড়ান এডিসন ফ্লোরেস। ৩৮ মিনিটে চিলি গোলরক্ষকের ভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইয়োশিমার ইয়োতুন। গোলরক্ষক আরিয়াস কী মনে করে পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে এসেছিলেন ক্যারিলোকে ঠেকাতে। সেই সুযোগে ক্যারিলোর বাড়ানো বলে সহজ এক ভলিতেই আরিয়াসকে বোকা বানান ইয়োতুন। 

    দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে চিলি। ৫১ মিনিটে এডুয়ার্ডো ভারগাসের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসলে গোল পাওয়া হয়নি চিলির। ৭৩ মিনিটে ভারগাসের আরেকটি হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দুই মিনিট পর পেরু গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন তিনি, তাঁর শট ঠেকিয়ে দিয়ে পেরুকে এগিয়ে রাখেন গ্যালেস। ৮১ মিনিটে ভিদালের শটও ঠেকিয়ে দেন গ্যালেস। 

    চিলি গোল তো করতেই পারেনি, উল্টো ৯১ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান গুরেরো। তাপিয়ার বাড়ানো পাসে সহজেই বল জালে জড়িয়ে পেরুকে উল্লাসে ভাসান দলের অধিনায়ক। ৯২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল চিলি, তবে ভারগাসের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়ে চিলিকে সান্ত্বনাসূচক গোলটাও পেতে দেননি গ্যালেস। 

    কোপার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে পেরু। গ্রুপ পর্বে এই ব্রাজিলের কাছেই ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল তাঁরা।