ড্র ম্যাচে উজ্জ্বল তাসকিন-তাইজুল-নুরুলরা
ডক্টর কে থিম্মাপ্পিয়া মেমোরিয়াল টুর্নামেন্ট
ডক্টর ডিওয়াই পাতিল ক্রিকেট একাডেমি ৩৩১ ও ৩১১
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ ৩০৬ ও ১৫৬/৩
ম্যাচ ড্র
ড্র হয়েছে কর্ণাটকে ডক্টর কে থিম্মাপ্পিয়া মেমোরিয়াল টুর্নামেন্টে ডক্টর ডিওয়াই পাতিল ক্রিকেট একাডেমির সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশের চারদিনের ম্যাচ। তিনটি ৩০০-পেরুনো স্কোরের পর শেষ দিনে ৩৩৭ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫২ ওভারে ১৫৬ রান তুলে থেমেছে বিসিবি একাদশ। ড্র ম্যাচে হাইলাইটস নুরুল হাসানের একটি ৮৭ রানের ইনিংসের সঙ্গে তাসকিন-তাইজুলদের পাঁচ-প্রাপ্তি।
প্রথম ইনিংসে অশোয় সারদেশাইয়ের সেঞ্চুরি, শুভম রঞ্জনের ফিফটির সঙ্গে আমান খানের ৪৩ ও নউশাদ শেখের ৩৮ রানে পাতিল একাডেমি তুলেছিল ৩৩১ রান। বিসিবি একাদশের তাইজুল ইসলাম ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ১৪৪ রানে, ২ উইকেট নিতে তাসকিন আহমেদ খরচ করেছিলেন ৪৭ রান।
১ম ইনিংসে বিসিবি একাদশ ৩০৬ রান তুলেছিল নুরুল হাসানের ৮৭ রানের সঙ্গে জহুরুল ইসলাম ও সাদমান ইসলামের ৪৯ রানের দুটি ইনিংসে। ওপেনিংয়ে জহুরুল-সাদমানের ৯৭ রানের জুটিতে দৃঢ় ভিত পেয়েও সেটা ঠিক কাজে লাগাতে পারেনি বিসিবি একাদশ। পাতিল একাডেমির মুকেশ চৌধুরি ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন, ২টি করে নিয়েছিলেন আকিব কুরেশি, সাইরাজ পাতিল ও নউশাদ শেখ।
২৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে তাসকিন আহমেদের তোপে পড়েছিল পাতিল একাডেমি, ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল তারা, যার ৩টিই নিয়েছিলেন তাসকিন। তবে এবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাতিল একাডেমি, নউশাদের সেঞ্চুরি ও নয়ে নামা ইকবাল আব্দুল্লাহর ৭০ রানে ভর করে। নউশাদ শেষ পর্যন্ত করেছেন ১০৮ রান, তাইজুলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে। ৯ম উইকেটে মুকেশকে নিয়ে ৫৯ রান তুলেছিলেন ইকবাল। মুকেশকে বোল্ড করে তাসকিন নিয়েছেন ইনিংসে ৫ উইকেট। নাঈম হাসান ৬৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট, ১টি করে নিয়েছেন শহিদুল ইসলাম, তাইজুল ও মুমিনুল।
দ্বিতীয় ইনিংসে রানতাড়ায় ব্যর্থ হয়েছেন বিসিবি একাদশের দুই ওপেনার। এরপর তিনে নেমে মুমিনুল হকের ৪৫ রানের ইনিংসের পর নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ৫৯ ও সাইফ হাসানের অপরাজিত ২১ রানের ইনিংস ড্র নিশ্চিত করেছে তাদের।
এ সফরে এর আগের চারদিনের ম্যাচটিও হয়েছিল ড্র, বিসিবি একাদশ খেলবে আরও একটি ম্যাচ।