• আফ্রিকান নেশন্স কাপ
  • " />

     

    সেনেগালকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকার সেরা আলজেরিয়া

    সেনেগালকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকার সেরা আলজেরিয়া    

    ম্যাচের ৮০ সেকেন্ডে আচমকা এক গোল ভাগ্য নির্ধারণ করে দিল আফ্রিকান কাপ অফ নেশনসের। বাগদাদ বৌনেদিয়াহর গোলে সেনেগালকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকা সেরার পুরস্কার পেয়েছে আলজেরিয়া। আর ২০০২ এর পর দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠা সেনেগাল আরও একবার ফিরল খালি হাতেই। 


     

    মিশরের রাজধানী কায়রোতে ম্যাচের ২ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে শট করেন বাগদাদ, সেই শট সালিফ সানের গায়ে লেগে উচ্চতা আর দিক দুইটিই পরিবর্তন করে ঢুকে যায় সেনেগালের জালে। সালিফ একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন কার্ড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞায় খেলতে না পারা কালিদু কৌলিবালির জায়গায়। 

    শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার পর আলজেরিয়া বাকি ম্যাচ খেলেছে রক্ষণাত্মক ফুটবল। বেশিরভাগ সময় সেনেগালই এগিয়ে ছিল বল পজিশনে। তবে সেভাবে নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারাও। প্রথমার্ধে এমবায়ে নিয়াং দূর থেকে শট করেছিলেন, সেটা অল্পের জন্য লক্ষ্য মিস করে চলে যায় বারপোস্টের ওপর দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলজেরিয়ার গোলরক্ষক রাইস এমবলহির সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানে গিয়ে আর ফিনিশ করতে পারেননি নিয়াং। নিয়াংকে কোনাকুনি কঠিন অ্যাঙ্গেলে নিয়ে যেতে বাধ্য করায় সে সময় এমবলহির অবদানই ছিল বেশি।

    প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে সেনেগাল সুযোগ তৈরি করেছে বেশি। তবে সেনেগালিজরা নিজেদের কপালের দোষও দিতে পারে। ৬০ মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়েছিল তারা, কিন্তু পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি নিজেই আবার বাতিল করেছেন সেই সিদ্ধান্ত। ইসমাইলা সারের ডানদিক থেকে করা ক্রস সোজাসুজি হাতে গিয়ে লেগেছিল আলজেরিয়ার আদেলেন গুয়েদিওয়ারর হাতে। রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্তের উদযাপন অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সেনেগালের। আদেলেনের হাত বাইরে থাকলেও ছিল তার শরীরের পাশেই। মাঠের পাশে রিপ্লে দেখে রেফারি তাই যৌক্তিকভাবেই পেনাল্টি বাতিল করেন। তবে ম্যাচের সবচেয়ে বড় মুহুর্ত হয়ে থেকেছে রেফারির ওই সিদ্ধান্তটাই।



    আলজেরিয়া গোলরক্ষক এরপর দারুণ এক সেভ করেছেন ইউসুফ সাবালির বুলেট গতির শটে। ম্যাচটাকে ধরা হচ্ছিল সাদিও মানে ও রিয়াদ মাহরেজের লড়াইও। তবে দুইজনই ফাইনালে ছিলেন নিষ্প্রভ। মানে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি, মাহরেজ ছিলেন আরও নীরব। সেটার মূল কারণ অবশ্য ছিল আলজেরিয়ার রক্ষণাত্মক ধাঁচে খেলা। এরপর বাকি সময়ে রক্ষণে আরও মনোযোগী হয়ে এক গোলের জয় নিশ্চিত করে আলজেরিয়া। রেফারির ম্যাচ শেষের  আলজেরিয়া খেলোয়াড়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পুরো টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচ না হেরেই নেশনস কাপ জিতল আলজেরিয়া। ফুরোল তাদের ২৯ বছরের অপেক্ষা। নেশনস লিগের ইতিহাসে দুই শিরোপার মাঝে এতো বড় সময়ের ব্যবধান নেই অন্য কোনো দলের।