• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    কিটব্যাগ পুড়িয়ে অন্য চাকরি খুঁজতে চান রাজা!

    কিটব্যাগ পুড়িয়ে অন্য চাকরি খুঁজতে চান রাজা!    

    জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে অস্থিরতা নতুন কিছু নয়। কিন্তু আইসিসির সদস্যপদ স্থগিত হয়ে যাবে তাদের, এমনটা হয়তো কল্পনাতেও ভাবেননি দেশটির ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট বোর্ডের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করেছে আইসিসি। আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে যারপরনাই হতাশ জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজা। ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজা ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোর্ডের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, তারা কি নিজেদের কিটব্যাগ পুড়িয়ে অন্য চাকরি খুঁজবেন? 

    বাছাইপর্ব পেরোতে না পারায় ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ খেলা হয়নি জিম্বাবুয়ের। খুব বেশি দ্বিপাক্ষিক সিরিজও খেলার সৌভাগ্য হয় না তাদের। আইসিসির এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো আইসিসি ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে না জিম্বাবুয়ে। এতে আগামী অক্টোবরে দুবাইতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়ের খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজেও খেলা হবে কিনা, সেটাও জানেন না জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। 

    জিম্বাবুয়ের আইসিসি সদস্যপদ স্থগিত হওয়ায় নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কিত ৩৩ বছর বয়সী রাজা, ‘আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। সবার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার যে এভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেটায় আমরা শঙ্কিত। শুধু ক্রিকেটারদের নিয়ে না, পুরো দেশের জন্যই চিন্তা হচ্ছে। এর থেকে কি কোন পরিত্রাণ আছে? আমার তো মনে হচ্ছে না। আমাদের জানানো হয়েছে সাময়িকভাবে সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু সেটা কতদিনের জন্য? দুই বছরের স্থগিতাদেশ তো অনেকের ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারে। এরকম স্থগিতাদেশ জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকেও শেষ করে দিতে পারে।'

    রাজা নিজে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর কলেজেও পড়াশুনা করেছেন। ক্রিকেট ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাবেন কিনা, বোর্ডের কাছে এমন প্রশ্ন ছিল তাঁর, ‘আমরা যদি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে না পারি, তাহলে কী হবে? আইসিসি কি আমাদের বোর্ডের পুরনো কমিটিকে ফেরত আনবে? পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা কোথায় যাব! আমাদের কি শুধু ক্লাব ক্রিকেট খেলতে হবে? নাকি আমরা নিজেদের কিটব্যাগ পুড়িয়ে অন্য চাকরির জন্য আবেদন করবো? এই মুহূর্তে কী করা উচিত সেটাই বুঝতে পারছি না।’ 

    গত মাসে জিম্বাবুয়ে সরকারের স্পোর্টস ও রিক্রিয়েশন কমিশন পুরো ক্রিকেট বোর্ডকেই বহিষ্কার করেছিল। আইসিসির এই বার্ষিক সভায় তাদের হয়ে কে অংশগ্রহণ করবেন, অনিশ্চিত ছিল এটাও। বোর্ডকে বহিষ্কার করার পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি নিয়োগ করেছিল সরকার, যা ছিল আইসিসির নিয়ম বিরোধী।

    রাজা বলছেন, গত জুনে হয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের নির্বাচনেই পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল আইসিসির, ‘আইসিসির একজন সদস্য যদি ওই নিবাচনের সময় এখানে আসতেন, তাহলে খুব ভালো হতো, সমস্যার সমাধানও দ্রুত হতো। ক্রিকেট আমাদের রুজি-রুটি ছিল, সেটাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এখন যা কিছুই বলি না কেনো, কোন লাভ নেই। আমাদের কথা শোনার মতো কেউ নেই।’