সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসছে না জিম্বাবুয়ে
সেপ্টেম্বরে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে না জিম্বাবুয়ে। আইসিসির দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের সদস্যপদ স্থগিত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট জানিয়েছে এটি। স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হওয়ার কথা ছিল এই ত্রিদেশীয় সিরিজ। এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, জিম্বাবুয়ে খেলতে আসবে কিনা সে সিদ্ধান্ত তাদেরই। তবে তারা আসতে ‘সমর্থ’ হবে না বলে জানানো হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার সময় ঘরোয়া মৌসুম বা আন্তর্জাতিক সূচির কোনও ক্রিকেটই অনুষ্ঠিত হবে না বলেও জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। ফলে আসছে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্বেও অংশ নেওয়া আপাতত স্থগিত হয়ে গেছে তাদের। আইসিসির পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের এমন সিদ্ধান্তে আপাতত ক্রিকেটশূন্য হয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ে, এমনটি বলাই যায় এখন।
“এরপর জিম্বাবুয়েকে আরেকটি বাছাইপর্ব আয়োজনের স্বত্ব দিয়েছিল আইসিসি, তবে সেটা ঝুলে গেল এখন’, বলা হয়েছে সে বিবৃতিতে। “এমন অবস্থায় ক্রিকেটার ও স্টাফরা থমকে যাবেন, তাদেরকে মাসের পর মাস অথবা আজীবনের জন্য বেতন ও ম্যাচ ফি ছাড়া থাকতে হবে।”
লন্ডনে আইসিসির বার্ষিক সভায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের পূর্ণ সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত বেশ বড় আঘাত হয়ে এসেছে দেশটির ক্রিকেটের জন্য। অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা প্রশ্ন তুলেছেন, তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে। এরই মাঝে অবসর নিয়ে ফেলেছেন সলোমন মিরে।
শুধু ছেলেরা নয়, থমকে যাচ্ছে মেয়েদের ক্রিকেটও। এর আগে তাদের আয়ারল্যান্ড সফর স্থগিত করা হয়েছিল শেষ মুহুর্তে এসে। পরের মাসে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির বাছাইপর্ব শুরু হবে স্কটল্যান্ডে, সেখানে তাদের অংশগ্রহণ আপাতত অসম্ভব। মেয়েদের অধিনায়ক মেরি-অ্যান মুসন্দা টুইট করে বলেছেন, “জিম্বাবুয়ের লাখ লাখ মেয়েদের জন্য ভিন্ন এক জীবনের টিকেট এটি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মেয়েদের (স্বপ্ন) তিন সপ্তাহে মিলিয়ে গেল। ঠিক আছে, জীবন। আমি দুঃখিত। আমি নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি।”
আইসিসির এমন সিদ্ধান্ত পুনির্বিবেচনা করার আহবান জানিয়েছে ক্রিকেটারদের সংস্থা ফিকা। এর নির্বাহী চেয়ারম্যান টনি আইরিশ বলেছেন, “জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের আগের বোর্ডের অধীনে ক্রিকেটাররা অনেক অভাবের মধ্য দিয়ে গেছে। বকেয়া ছিল, ক্রিকেটারদের চুক্তি অহরহ ভঙ্গ করা হয়েছে। আমরা আইসিসিকে অনুরোধ করেছি এমন অস্বস্তিকর অবস্থাতেও ক্রিকেটারদের চুক্তিকে সম্মান করতে একটা প্রক্রিয়া বের করতে।”
“জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া কিছু ক্রিকেটারের এখন দিন এনে দিন খাওয়ার মতো অবস্থা। এবং এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটি মানবিক ব্যাপারের দিকে নজর দেওয়ার বিষয় আছে।”
অন্যদিক জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা আশা ছাড়ছেন না, “আমরা যত শীঘ্র সম্ভব আমাদের দলকে খেলতে দেখতে চাই। স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিটির কর্তাব্যক্তিদের সহায়তা করবে বোর্ড, আইসিসির স্ট্যাটাস ফিরিয়ে আনতে।”
এই স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিটি বিলুপ্ত করেছিল জিম্বাবুয়ের আগের ক্রিকেট বোর্ড, এরপর নিয়োগ করা হয়েছিল একটি অন্তর্বর্তীকালিন কমিটি। এমন সিদ্ধান্তকেই আইসিসির সংবিধান পরিপন্থী বলে অভিযোগ এনে জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করেছে আইসিসি।