• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    চিন্নাস্বামীতে প্রথম দিনে উজ্জ্বল শহীদুলরা

    চিন্নাস্বামীতে প্রথম দিনে উজ্জ্বল শহীদুলরা    

    ডক্টর কে থিম্মাপ্পিয়া মেমোরিয়াল টুর্নামেন্ট
    ১ম দিনশেষে 
    কেএসসিএ একাদশ ১ম ইনিংস ৭৯ অল-আউট
    বিসিবি একাদশ ১ম ইনিংস ১৩৫/৩*
    বিসিবি একাদশ ১ম ইনিংসে ৫৬ রানে এগিয়ে 


    কর্ণাটক সফরে তৃতীয় চারদিনের ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে বিসিবি একাদশের। ডক্টর কে থিম্মাপ্পিয়া মেমোরিয়াল টুর্নামেন্টে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কেএসসিএ সেক্রেটারিস একাদশকে প্রথম ইনিংসে ৭৯ রানেই গুটিয়ে দেওয়ার পর দিনশেষে ৫৬ রানের লিড নিয়েছে তারা। বোলিংয়ে মূল হন্তারকের ভূমিকায় ছিলেন পেসার শহীদুল ইসলাম, ১৬ ওভারে ৭ মেইডেনসহ মাত্র ২০ রানে তিনি নিয়েছেন ৫ উইকেট। সঙ্গে এবাদত হোসেন ও আরিফুল হক মিলে নিয়েছেন বাকি ৫ উইকেট। 

    টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বিসিবি একাদশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে গিয়ে জোড়া আঘাত করেছেন শহিদুল- ওপেনার রোহান কাদাম হয়েছেন বোল্ড, এরপর তিনে নামা শিভাম মিশ্রা হয়েছেন এলবিডব্লিউ। গুচ্ছ আকারে উইকেট হারিয়েছে কেএসসিএ সেক্রেটারিস একাদশ- ৫ রানের পর ১৫ রানেও ২টি, ৪২-৪৪ রানের ভেতর ৩টি, ৫১ রানে ১টি, ৭৮-৭৯ রানের ভেতর আরও ২টি। 

    শহিদুলের জোড়া আঘাতের পর তৃতীয় উইকেটটি নিয়েছিলেন এবাদত, অর্জুন এসপি তার বলে দিয়েছিলেন ক্যাচ। পরের ওভারে আবার সফল শহিদুল, এবার তার বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন নাগা ভারত। এরপরের চারটি উইকেটের মাঝে তিনটি  নিয়েছেন আরিফুল- অভিনভ মনোহর, ভিনয় এন সাগর ও কার্তিক সি এ। আর প্রভীন দুবের উইকেট গেছে এবাদতের ভাগে। 

    ৫ম উইকেটে দুবে ও মনোহর মিলে যোগ করেছিলেন ২৭ রান, যা ইনিংসে সর্বোচ্চ জুটি। ৯ম উইকেটে কেএস দেভাইয়াহ ও আনন্দ দোদ্দামানি মিলে আরও ১৭ রান তুলেছিলেন, দুজন মিলে খেলেছিলেন প্রায় ১৬ ওভার। ফিরে এসে দুজনকেই ফিরিয়েছেন শহিদুল। দোদ্দামানিকে বোল্ড করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ হয়েছে তার। কেসিএসএ একাদশে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেছেন দেভাইয়াহই। 

    ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সাইফ হাসানকে হারিয়ে ফেলেছিল বিসিবি একাদশ, ভিদ্দ্বথের বলে তিনি ক্যাচ দিয়েছিলেন মাত্র ৩ রান করে। ২য় উইকেটে মুমিনুল হকের সঙ্গে ৩৮ রান যোগ করে সে চাপ সামাল দিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। মুমিনুল ১০ রান করে দোদ্দামানির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেও সাদমান শেষ পর্যন্ত করেছেন ৯৩ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৫৯ রান, আউট হয়েছেন দেভাইয়ার বলে বোল্ড হয়ে।  চতুর্থ উইকেটে ৪০ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন আছেন জহুরুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন। দুজন অপরাজিত যথাক্রমে ২৮ ও ২৭ রানে। 

    এর আগে এ সফরে দুটি ম্যাচই ড্র করেছিল বিসিবি একাদশ।