• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    সেই রাহীই জয় দেখালেন বাংলাদেশ এ দলকে

    সেই রাহীই জয় দেখালেন বাংলাদেশ এ দলকে    

    আফগানিস্তান এ ৩২.৪ ওভারে ১২২ অলআউট (জাদরান ২৫ রাহী ৪/২৮, মাহেদী ৩/২৪)

    বাংলাদেশ এ ৩.০.৩ ওভারে ১২৩/৩ (ফজলে রাব্বি ৫৭*, ইমরুল ২৩, আফিফ ২১*; জিয়া আকবর ১/১৮)

    ফল: বাংলাদেশ এ ৭ উইকেটে জয়ী (৫ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এ পিছিয়ে)


    সফরটা একরকম দুঃস্বপ্নের মতোই যাচ্ছিল বাংলাদেশ এ দলের। একটি চার দিনের ম্যাচে আফগানিস্তান এ দলের কাছে হারতে হয়েছিল, পরেরটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। প্রথম ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারের পর হারতে হয়েছে পরেরটিতেও। অবশেষে তৃতীয় ওয়ানডেতে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। তাতেও সবচেয়ে বড় অবদান এমন একজনের, যিনি বিশ্বকাপে সুযোগ পেলেও শ্রীলংকা সিরিজে উপেক্ষিতই থেকে গেছেন।

    আবু জায়েদ রাহীর কপালটা দুর্ভাগ্য বললেও আসলে কম বলা হবে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। এর মধ্যে বিশ্বকাপ দলেও সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু নয় ম্যাচের একটিতেও একাদশে ছিলেন না। অথচ নিজের সর্বশেষ ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেওয়ার পরও বাদ পড়েছিলেন শ্রীলংকা সিরিজের ১৪ জনের দল থেকে।

    এর মধ্যে শেষ মুহূর্তে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাইফ উদ্দিন ছিটকে যাওয়ার পরও যে দুজন পেসার ডাক পেয়েছেন, তার মধ্যে ছিলেন না রাহী। এমনকি কাল বাড়তি পেসার হিসেবে শফিউলকে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছে, তারপরও রাহী থেকে গেছেন উপেক্ষিত।

    আজ চট্টগ্রামে রাহী আগুন ঝরিয়েছেন শুরু থেকেই। ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় বলেই আফগান ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজকে এলবিডব্লু করে শুন্য রানে ফিরিয়েছেন। এরপর পঞ্চম ওভারে এসে ফিরিয়েছেন উসমান গনিকে। স্পিনার মাহেদী হাসানও যোগ দিয়েছেন অন্য পাশ থেকে, অষ্টম ওভারে শহীদ কামালকে ফিরিয়েছেন। ৩৪ রানে তখন ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আফগানিস্তান এ। এরপর নাসির জামাল ও এই সফরে দারুণ খেলা আফগান ওপেনার ইব্রাহীম জাদরানকেও ফিরিয়ে দিয়েছেন মাহেদী। ৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন কাঁপছে আফগানরা।

    সেখান থেকে তারা আসলে আর ঘুরেই দাঁড়াতে পারেনি। দারউইশ রাসুল ও করিম জিনাত মিলে ৩০ রান যোগ করেছিলেন। এরপর আবু হায়দার রনি রাসুলকে বোল্ড করে ভেঙেছেন জুটি। করিম জিনাতকে ফিরিয়েছেন আরেক স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।

    শেষ দিকে এসে আবার আঘাত হেনেছেন রাহী। শরাফউদ্দিন আশরাফকে আফিফের ক্যাচ বানানোর পর আউট করেছেন ফরিদ আহমেদ মালিককে। মাত্র ৩২.৪ ওভারেই ১২২ রানে অলআউট হয়ে গেছে আফগানিস্তান এ। চার উইকেট নিয়েছেন রাহী, সেটিই তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

    এই রান তাড়া করতে গিয়েও অবশ্য হোঁচট খাচ্ছিল বাংলাদেশ এ। ওপেনার নাইম শেখ ফিরে গেছেন ২ রানে, ২৮ বলে ২৩ রান করে আউট অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ৩৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ এ । খানিক পর জাকির হাসান ১২ রান করে আউট হয়ে যাওয়ায় সেটা হয়ে গেছে ৪৮ রানে ৩ উইকেট। এরপর অবশ্য ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও আফিফ হোসেন মিলে হাল ধরেছেন। চতুর্থ উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটি ১৯.৩ ওভার বাকি থাকতেই জয় এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। ৭৯ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাব্বি, আফিফ করেছেন ৫৫ বলে ২১ রান।