• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    কলপ্যাকে আর খেলোয়াড় হারাতে হবে না দক্ষিণ আফ্রিকাকে?

    কলপ্যাকে আর খেলোয়াড় হারাতে হবে না দক্ষিণ আফ্রিকাকে?    

    এই কলপ্যাক চুক্তির কারণে জাতীয় দলকে বিদায় বলেছেন বহু ক্রিকেটার। কলপ্যাক চুক্তির দিন অবশ্য ফুরিয়ে যেতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। যদি কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যায় ইংল্যান্ড, তাহলে ২০২১ সালের মাঝেই ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট থেকে উঠে যেতে পারে কলপ্যাকের নিয়ম। 

    ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে সমঝোতা আছে, এমন দেশগুলির ভেতর ক্রিকেট খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড। তাই এসব দেশ থেকে অনেকেই 'কলপ্যাক'  নামক বিশেষ চুক্তিতে জাতীয় দল ছেড়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে আসেন। ইংল্যান্ড যদি ‘নো ডিল ব্রেক্সিটে’ যায়, তাহলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি ছাড়াই সম্পর্ক ছেদ করবে তাঁরা। এতে ইউরোপের অন্য দেশের পাসপোর্ট নিলেও ক্রিকেটারদের কাউন্টি ক্রিকেটে দেখা হবে বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবেই। 

    আগামী ৩১ অক্টোবর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে থেকে বের হওয়ার সম্ভাবনা আছে ইংল্যান্ডের। সদ্য ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়া বরিস জনসন বহু আগে থেকেই ‘নো ডিল ব্রেক্সিটের’ পক্ষে কথা বলে আসছেন। 

    এমন অবস্থায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ১৮টি কাউন্টি দলকে চিঠি পাঠিয়েছে। চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট হলে বর্তমানে যে কলপ্যাক চুক্তি আছে বিদেশি ক্রিকেটারদের সাথে, সেটা আগামী মৌসুমের পরেই শেষ হয়ে যাবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে চুক্তি না থাকায় ২০২০ সালের পর নতুনভাবে কারো সাথে কলপ্যাক চুক্তিও করতে পারবে না ক্লাবগুলো। 

    এই মুহূর্তে অনেক ক্রিকেটার কলপ্যাক চুক্তির মাধ্যমে কাউন্টিতে খেলছেন। এর মাঝে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মরনে মরকেল, ওয়েইন পারনেল, ডুয়াইন অলিভিয়ের, কাইল অ্যাবটরাও। কলপ্যাক চুক্তি না থাকলে জাতীয় দলগুলো হয়তো একটু খুশিই হবে। সবচেয়ে বেশি খুশি হবে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা। কলপ্যাক যে তাদের থেকেই সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার কেড়ে নিয়েছে!