• লা লিগা
  • " />

     

    হার দিয়েই লা লিগা মিশন শুরু করল মেসিবিহীন বার্সা

    হার দিয়েই লা লিগা মিশন শুরু করল মেসিবিহীন বার্সা    

    বার্সেলোনার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ১১ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি অ্যাথলেটিক বিলবাও, ৮ ম্যাচে ছিল গোলশূন্য। সান মামেসে ২০১৯-২০ লা লিগার উদ্বোধনী ম্যাচে বার্সার একাদশে ছিলেন না লিওনেল মেসি এবং সার্জিও বুস্কেটস। সুযোগটা হাতছাড়া করেনি বিলবাও। অন্তিম মুহূর্তে আরিৎজ আদুরিজের গোলে বার্সাকে ১-০ গোলে হারিয়ে লা লিগা শুরু করল বাস্ক অঞ্চলের ক্লাবটি। লা লিগা শিরোপা ধরে রাখার মিশনে প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল এর্নেস্তো ভালভার্দের দল। এই হারে দশ বছর পর হার দিয়েই লা লিগা শুরু করল বার্সা।  

    এই মৌসুমের শেষেই অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ৩৮ বছর বয়সী আদুরিজ। ক্যারিয়ারের গোধূলিবেলায় চলে এসেছেন, এখন আর প্রতি সপ্তাহে জায়গা মেলে না একাদশে। আজও নেমেছিলেন ৮৮ মিনিটে, বিলবাওয়ের একাদশে তার স্থলাভিষিক্ত ইনাকি উইলিয়ামসের জায়গায়। শেষবেলায় এসে আদুরিজ জানান দিলেন, এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি। ৮৯ মিনিটে অ্যান্ডার কাপার ক্রসে হাওয়ায় ভেসে করলেন অবিশ্বাস্য এক ভলি, সেই ভলি অনায়াসেই বোকা বানালো বার্সা কিপারকে। আদুরিজের এই দুর্দান্ত গোল সান মামেসে উপস্থিত হাজার পঞ্চাশেক সমর্থকদের মাতিয়েছেন বুনো উল্লাসে।

     

     

    সান মামেসে শুরুটাও আক্রমণাত্মক ছিল বিলবাওয়ের। ৮ মিনিটেই উইলিয়ামসের আগুনে শট বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার-স্টেগান ফিরিয়ে না দিলে তখনই লিড নিত তারা। আজকের ম্যাচ দিয়েই প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে বার্সার হয়ে অভিষেক হয়েছিল ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং এবং আঁতোয়া গ্রিযমানের। ডি ইয়ং মাঝমাঠের দখল নিজের করে নিলেও আক্রমণে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন গ্রিযমান। ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড নিজের ছায়া হয়ে থাকলেও লুইস সুয়ারেজ ছিলেন স্বরূপে। ৩২ মিনিটে লোপেজের ভুলে বিলবাও ডিবক্সে বল পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু তার শট বিলবাও গোলরক্ষক সিমনকে ফাঁকি দিলেও প্রতিহত হয় বারপোস্টে।

    গোলের সুযোগ হাতছাড়া করার মিনিট পাঁচেক পর আরও বড় হতাশা নেমে আসে বার্সার কপালে। ৩৭ মিনিটে পায়ের মাংসপেশিতে টান খেয়ে মাঠ ছাড়েন সুয়ারেজ, তার বদলি হিসেবে নামেন রাফিনহা। ৪২ মিনিটে বার্সাকে আরেকটু হলেই লিড এনে দিতে পারতেন তিনি। কিন্তু রাফিনহার চমৎকার বাঁকানো শট দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন সিমন। বিলবাও গোলরক্ষকের হাতে লেগে বারপোস্টে প্রতিহত হয় রাফিনহার শট। গোলশূন্য থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় দুর্ভাগা বার্সাকে।

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কার্লোস আলেনিয়াকে উঠিয়ে ইভান রাকিটিচকে নামিয়ে দেন ভালভার্দে। মাঝমাঠে বিলবাওকে চেপে ধরলেও আক্রমণে একেবারেই সুবিধা করতে পারছিলেন না গ্রিযমান-ডেম্বেলেরা। ৬০ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে উসমান ডেম্বেলের শট আবারও ফিরিয়ে দেন সিমন। প্রতি-আক্রমণে বিলবাওকেই মনে হচ্ছিল ভয়ঙ্কর। ৭৪ মিনিটে উইলিয়ামসের শট স্টেগানকে পরাস্ত করলেও চলে যায় বার্সার গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে।

    শেষদিকে গোলের আশায় আদুরিজকে নামানোর বাজিটা দারুণ কাজে দিয়েছে বিলবাও ম্যানেজার গাইৎস্কা গারিতানোর। বুস্কেটস ছাড়া নিজেদের শেষ ৫ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি বার্সা (২ হার, ৩ ড্র)। মেসির মত তার উপস্থিতিও বার্সার একাদশে ঠিক কতটা অপরিহার্য- সেটিই যেন প্রমাণিত হল আবারও।