পার্মায় এক গোলে পার পেল জুভেন্টাস
পার্মার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় দিয়ে সিরি আর নতুন মৌসুম শুরু করেছে চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। জর্জিও কিয়েলিনির প্রথমার্ধের গোল ভাগ্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো অবশ্য জালে বল জড়িয়েও ভিআরের কারণে পরে আর গোল পাননি।
পার্মার মাঠ এনিও ত্রাদিনিতে জুভেন্টাসের ফ্রন্ট থ্রিতে রোনালদোর সঙ্গী ছিলেন গঞ্জালো হিগুয়াইন ও ডগলাস কস্তা। নতুনদের মধ্যে একাদশে ছিলেন কেবল আদ্রিয়েন রাবিও। ম্যাথিয়াস ডি লিটও ছিলেন বেঞ্চে। কিয়েলিনি, লিওনার্দো বনুচ্চির পুরনো জুটিই শুরু করেছিল জুভেন্টাসের রক্ষণে। শেষ পর্যন্ত ডি লিট বা পাউলো দিবালা কেউই আর মাঠে নামার সুযোগ পাননি। অসুস্থ্ থাকার কারণে অবশ্য ডাগ আউটে ছিলেন না জুভেন্টাস কোচ মাউরুসিও সারিও। নতুন ক্লাবে প্রথম জয়টা সারিকে তাই উদযাপন করতে হয়েছে মাঠের বাইরে থেকে।
ম্যাচের ২১ মিনিটে কর্নার থেকে গোলরক্ষক বল ক্লিয়ার করার পর ডিবক্সের মাথায় বল পেয়েছিলেন অ্যালেক্স সান্দ্রো। তিনি গোল বরাবর নিয়েছিলেন দুর্বল শট। সেটাই এক পা দিয়ে খোঁচা মেরে সিক ইয়ার্ড বক্সের সামনে জটলার ভেতর থেকে গোলে পরিণত করেন কিয়েলিনি।
৩৩ মিনিটে রোনালদো অ্যাটাকিং থার্ডে বল রিসিভ করে দৌড়ে বক্সের ভেতর ঢুকে গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানে কোণুকুণি শটে গোল করেছিলেন। কিন্তু ভিএআর পরে কয়েক সেন্টিমিটার পার্থক্যের জন্য রোনালদোকে অফসাইডে ফেলার সিদ্ধান্ত দেয়। তাই প্রথম ম্যাচে আর গোল পাওয়া হয়নি রোনালদোর। এর কিছুক্ষণ পর অবশ্য হিগুয়াইনের পাস থেকে একইরকম জায়গা থেকে অল্পের জন্য গোল মিস করেন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেক চেষ্টা করেও পরে জুভেন্টাস আর দ্বিতীয় গোলের দেখা পায়নি। রোনালদোকে আরও দুইবার রুখে দেন পার্মা গোলরক্ষক লুইজি সেপে। একবার নেয়ার পোস্টে, আরেকবার রোনালদোর বুলেট গতির শট ফিস্ট করে দলকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তবে আক্রমণে জার্ভিনহোরা মোটেই ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারেননি জুভেন্টাসের জন্য। বাকি তিন ডিফেন্ডারের মতো উজ্জ্বল ছিলেন রাইটব্যাক মাতেও ডি শিলিও। পুরো শতভাগ ডুয়েল জিতেছেন তিনি এই ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত এক গোলের জয়টাই তাই তুলনামূলক সহজভাবেই এসেছে জুভেন্টাসের জন্য।