মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি, তাসকিন-এবাদত মিলিয়ে ৭ উইকেট
প্রস্তুতি ম্যাচ, প্রথম দিনশেষে
বাংলাদেশ লাল ১ম ইনিংস ২৬৮ অল-আউট (মাহমুদউল্লাহ ১০৭, রনি ৪০, সাব্বির ৩৪, তাসকিন ৪/৪৫, এবাদত ৩/৪২)
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে মিরপুরে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, টেস্ট দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ লাল মুশফিকুর রহিমের সবুজ দলের বিপক্ষে ৮৪.১ ওভারে অল-আউট হয়ে গেছে ২৬৮ রানে।
ওপেনিংয়ে জহুরুল ইসলামের সঙ্গী হয়ে নেমেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে ব্যর্থ হয়েছেন দুজনই, ১৪ বলে ১ রান করে এবাদতের বলে বোল্ড হয়েছেন মিঠুন, জহুরুল ২৫ বলে ১৩ রান করে কট-বিহাইন্ড তাসকিনের বলে। জহুরুলের উইকেটের ঠিক পরের বলেই সাকিব আল হাসানকেও বোল্ড করেছেন তাসকিন, বাংলাদেশ অধিনায়ক ‘প্রথম দফা’ মেরেছেন গোল্ডেন ডাক।
‘প্রথম দফা’ বলতে হচ্ছে, কারণ পরে এই ইনিংসেই আবার ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। এবার তাইজুল ইসলামের নীচু হওয়া বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে করতে পেরেছেন ২ চারে ৯ রান। সাকিবের দ্বিতীয় দফা আউটের আগেই ফিরেছেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান।
লিটন ছিলেন বেশ ধীরস্থির, ৭৩ বলে ২৩ রান করে মোসাদ্দেকের বলে বোল্ড হওয়ার আগে। লাঞ্চ পর্যন্ত সাব্বিরকে নিয়ে টিকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বিরতির পর টানা স্পেল করে যাওয়া এবাদত হোসেনের বলে কাট করতে গিয়ে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়া মুশফিকের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন সাব্বির, ৫৩ বলে ৩৪ রান করে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটি ৬৫ রানের।
মেহেদি হাসানের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটি ২৩ রানের, মেহেদিকে কট-বিহাইন্ড করে এটিও ভেঙেছেন তাসকিন। তবে আবু হায়দার রনিতে যোগ্য সঙ্গী খুঁজে পেয়েছিলেন যেন মাহমুদউল্লাহ। ৮ম উইকেটে দুজন মিলে তুলেছেন ৫০ রান।
নিজের সেঞ্চুরির পরপর আরিফুলকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ। এর আগে করেছেন ১৮৯ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ১০৭ রান। শেষ পর্যন্ত এবাদতের বলে ক্যাচ তোলার আগে রনি করেছেন ৪০ রান। শফিউল ইসলামের সঙ্গে ৯ম উইকেটে রনি যোগ করেছেন আরও ৩৮ রান। লাল দলের ইনিংস শেষ হয়েছে তাসকিনের বোলিংয়েই, দিনের শেষ বলে কট-বিহাইন্ড হয়েছেন আবু জায়েদ রাহি।
তাসকিন বোলিং শেষ করেছেন ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে, এবাদত ৩ উইকেট নিয়েছেন ৪২ রানে।