অধিনায়কত্ব নয়, টেস্টে অনাগ্রহ সাকিবের : বিসিবি প্রেসিডেন্ট
অধিনায়কত্ব নয়, সাকিব আল হাসানের টেস্ট খেলার ব্যাপারেই আগ্রহ কম বলে মনে করেন বিসিবি প্রসিডেন্ট নাজমুল হাসান। অধিনায়কত্বের ব্যাপারে তার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেছেন, টেস্ট খেলার অনাগ্রহের কারণেই অধিনায়কত্ব নিয়ে এমন বলে থাকতে পারেন সাকিব।
আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্টের আগেই এক বাংলাদেশী পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সাকিব বলেছিলেন টেস্ট অধিনায়কত্বের ব্যাপারে তার অনাগ্রহের কথা। আফগানিস্তানের সঙ্গে হারের পরও বলেছেন, অধিনায়কত্ব না করতে হলেই ‘সবচেয়ে ভাল হবে’। আর অধিনায়কত্ব করতে হলেও অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা আছেও বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
অবশ্য নাজমুল বলছেন, সংবাদমাধ্যম ছাড়া তাদের সঙ্গে কথা হয়নি সাকিবের, “এটি কঠিন প্রশ্ন। তবে এটি ঠিক যে আমরা দেখছি টেস্টের ব্যাপারে বেশ কিছুদিন থেকে ওর আগ্রহ তেমন নেই। বিশেষ করে আপনারা যদি দেখেন আমাদের বাইরে যখন দলগুলো যাচ্ছিলো তখন টেস্টের সময় সে একটু বিরতি চায়। স্বাভাবিকভাবেই ওর হয়তো আগ্রহটা কম।”
“তবে অধিনায়কত্ব নিয়ে কখনো শুনিনি, আমরা কখনো শুনিনি যে অধিনায়কত্ব নিয়ে ওর আগ্রহ কম আছে। তবে অধিনায়ক হলে তো টেস্ট খেলতেই হবে। অধিনায়ক না হলে না খেলেও পারা যায়। তাই স্বভাবতই হয়তো এই কারণে অধিনায়কত্বের কথাটি এসেছে।”
আপাতত বিসিবির কাছে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবই সেরা পছন্দ বলে মত নাজমুলের, “তবে এটি ঠিক আছে। ও অনেক সার্ভিস দিয়েছে, আমরা মনে করি সে হলো সেরা অধিনায়ক। আমাদের হাতে যে অপশন আছে তাদের মধ্যে থেকে সে সেরা।
“এখন পর্যন্ত সে আমাদের কিছু বলেনি, সংবাদমাধ্যমে বলেছে যে, যদি থাকি কিংবা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে- এই ধরনের একটি কথা। আমি গতকাল ওর সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু সেখানে এমন কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি। যেহেতু এখন একটি সিরিজ চলছে, আমার মনে হয় এখনই এটি নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। ও যদি প্রসঙ্গ তুলত তাহলে অবশ্যই আলোচনা করতাম।”
“ও (সাকিব) আমাদের সঙ্গে যখন বলবে, তখন আনুষ্ঠানিকভাবে বলব। হয় কি, মন-টন খারাপ থাকে তো। ও তো আগে কয়টা টেস্টে যায়ও নাই। এসে হঠাৎ করে আফগানিস্তানের সঙ্গে হারল, আর আমাদের ছেলেরা তো একটু আবেগি। ঠান্ডা মাথায় যা বলার বলব, যদি সে বলে।”
আর পরিকল্পনার অভাবের ব্যাপারে সাকিবের বলা কথা নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি জানি না আসলে এর মানে কী। কারণ ওর সঙ্গে তো কালও বসেছিলাম। আমার যেটি ধারণা যে, ও বলতে চাচ্ছে- এর আগে সে বলেছিল, বলার পরে আমার স্পষ্ট মনে আছে যে সে খুব চিন্তায় ছিল। আমাদের পাইপলাইনে নতুন ক্রিকেটার আছে কিনা। তবে এই টেস্টটি শুরু হওয়ার আগে আমি বাইরে যাওয়ার আগের রাতে আমার বাসায় এসে বলেছিল যে, ‘আমাদের এত ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে আমার ধারণাই ছিল না।’ একটি বিষয় হচ্ছে জানা, আরেকটি হলো না জানা। আমার কথা হচ্ছে কেউ আসলে ভালো না খারাপ সেটি সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা বলতে পারছি না।”
২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার চোটের পর প্রথমবার অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল সাকিবকে। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সালের পর টেস্ট অধিনায়ক করা হয়েছিল তাকে।