• আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট
  • " />

     

    প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচেও একটা চ্যালেঞ্জ দেখছেন সাকিব

    প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচেও একটা চ্যালেঞ্জ দেখছেন সাকিব    

    চতুর্থ দিন শেষে চট্টগ্রাম টেস্টের যে অবস্থা, তাতে বৃষ্টিই শুধু পারে বাংলাদেশকে বাঁচাতে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে যখন অপেক্ষা এমন হতাশার দিনে কে আসবেন, একটু চমকে দিয়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই এলেন। আবার হাসতে হাসতে বললেন, সতীর্থদের ওপর থেকে চাপ সরাতে এসেছেন নিজেই। এরপর সাকিব যেভাবে সংবাদ সম্মেলন সামলালেন, তাতে অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে তার দায় নেওয়ার ইচ্ছাটা বোঝা যায়। এই টেস্টে হেরে গেলে অবশ্য আরও অনেক অপ্রিয় প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে অধিনায়ককে। তবে বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েও সাকিব বললেন, এই ম্যাচে বাকিরা মিলে লড়াই করতে পারলে অন্তত কিছু একটা পাওয়া যাবে।

    সাকিব নিজে ক্রিজে আছেন বলেই তাকে সরাসরি দোষ দেওয়া গেল না। বরং বেন স্টোকস হতে পারবেন কি না এমন প্রশ্ন মুচকি হেসে এড়িয়েও গেলেন। তবে বাস্তবতা বলছে, বাংলাদেশের এই ম্যাচ অন্তত বাঁচাতেও হলে সাকিবকে শুধু স্টোকস হলে হবে না, সৌম্য-নাঈম-মিরাজ-তাইজুলদের কাউকে পেরেরা, লারা হয়ে যেতে হবে। শেষ দিনে ৪ উইকেট হাতে রেখে ২৬২ রান করতে হলে তো দুইজনকে প্রায় অতিমানব হয়ে যেতে হবে। সাকিবকে অবশ্য জয়ের কথা বলতে একটু হেসে দিলেন। হাসিতে হাসতে বললেন, ‘রান কত দরকার? ২৭০... দুইজনের একশো একশো করতে হবে। একশো একশো না। একজনের ১২০ আরেকজনের ১৫০ করা লাগবে। ’

    তবে এত কিছুর মধ্যে আবহাওয়ার কথাও ভুলে যাচ্ছেন না অধিনায়ক। কাল সকালেও আছে বৃষ্টির পূর্বাভাস, যদিও বিকেলের দিকে তা কম। সেটা মাথায়ও আছে অধিনায়কের, ‘দুনিয়াতে কিছুই অসম্ভব নয়। দেখা যাক না কি হয়। আরেকটা আছে বৃষ্টি উপরে, ওটাও আমাদের বাঁচাতে পারে। বেশ কয়েকটা পথ আছে। এখন বাকিটা দেখা যাক।’

     তবে পরে সাকিবও স্বীকার করে নিয়েছেন বাস্তবতা। এই ম্যাচ হারের খুব কাছাকাছি তারা। তারপরও ম্যাচ বাঁচানোর জন্য না হোক, অন্তত লড়াই করার জন্য হলেও সাকিব কাল কিছু একটা করতে চান, ‘বাস্তব ফল ফলছে তো আমরা এই ম্যাচ হারের খুব কাছাকাছি। একমাত্র বৃষ্টি আছে আর আল্লাহ যদি স্বয়ং আমাদের দুইজন প্লেয়ারের ওপর না পড়ে  তাহলে হারার সম্ভাবনাটাই খুব বেশি। এখানেও আসলে একটা চ্যালেঞ্জ থেকে যায়। আমরা যে ৪ জন বাকি আছি, তারা যদি কিছু একটা করে দেখাতে পারি। বা কিছু করতে না পারলেও, লড়াই করার যে মানসিকতা, আমরা যে এতোদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি, এটলিস্ট ঘরের মাঠে ভালো কিছু করেছি, তার যে একটা প্রমাণ অন্তত আমরা রেখে যেতে পারি। হয়তো হারতে পারি, তবে ঐ যে লড়াই করার যে একটা ছাপ, সেটা যেনো আমরা দেখাতে পারি।’

     

     

    সাকিব অবশ্য তাড়া করতে নামার আগে ভেবেছিলেন, এই উইকেটে ৩৯৮ রান তাড়া করা অসম্ভব নয়, ‘৩০ রান (দুই ওপেনারের আউট হওয়ার আগে) পর্যন্ত মনে হয়েছিল সম্ভব। কারণ উইকেটটা এখনো খারাপ হয়নি। যথেষ্ট ভাল আছে। রিষ্ট স্পিনাররা ওদের বাড়তি সুবিধা পাবেই যেটা যেকোন ফ্লাট উইকেটেই পায় চার নম্বর বা পাঁচ নম্বর দিনে। কিন্তু উইকেটটা আনপ্লেয়েবল না। ’

    আপাতত যে অবস্থা, তাতে নিজেদের চেয়ে বৃষ্টির ওপরেই বেশি ভরসা করতে হচ্ছে সাকিবকে।