রাহি-মাহমুদউল্লাহর বোলিং ঝলক, ফিফটি মোসাদ্দকের
প্রস্তুতি ম্যাচ
বাংলাদেশ লাল ১ম ইনিংস ২৬৮ অল-আউট (মাহমুদউল্লাহ ১০৭, রনি ৪০, সাব্বির ৩৪, তাসকিন ৪/৪৫, এবাদত ৩/৪২) ; বাংলাদেশ সবুজ ১ম ইনিংস ১২৫ অল-আউট (মোসাদ্দেক ৫১, মুমিনুল ৩৫, রাহি ৩/২২, মাহমুদউল্লাহ ৩/৪)
ম্যাচ ড্র
লাঞ্চ বিরতিতে সৌম্য সরকার রানিং অনুশীলন করছিলেন। একটু পর পিচের পাশে গিয়ে রানিং বিটুইন দ্য উইকেট অনুশীলন করছিলেন মুশফিকুর রহিম, খানিক আগেই যিনি নক করে এসেছেন ইনডোর থেকে। প্রথম সেশন পরই দুজনের এই প্রস্তুতি বলে দেয়, প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংয়ে মনমতো সময় কাটাতে পারেননি কেউই ক্রিজে। চারে নেমে মুশফিক আউট হয়েছেন ২১ বলে ৬ রান করে, সৌম্য ৬ বল খেলে ডাক মেরেছেন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে।
মোসাদ্দক হোসেনের ফিফটির সঙ্গে আবু জায়েদ রাহি ও মাহমুদউল্লাহর ৩টি করে উইকেটপ্রাপ্তিতে শেষ হয়েছে আফগানিস্তান টেস্টের আগে বাংলাদেশের দুই একাদশের প্রস্তুতি ম্যাচ। অবশ্য মোসাদ্দেকের ফিফটির সঙ্গে মুমিনুল হকের ৩৫ রান ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেননি মুশফিকুর রহিমের দলের কেউই।
সৌম্যর মতো ব্যর্থ সাদমান ইসলামও। ওপেনিংয়ে নেমে ১০ বল খেলে শূন্যতে ফিরেছেন তিনি মেহেদি হাসানের বলে আবু হায়দার রনিকে ক্যাচ দিয়ে। সাত নম্বরে আরেকবার নেমেছিলেন, এবার অবশ্য ক্রিজে সময় কাটিয়েছেন বেশ কিছুক্ষণ। ৬৩ বল খেলেছেন, ৯ উইকেট যাওয়ার পর মাহমুদউল্লাহকে তুলে মারতে গিয়ে তার হাতেই ধরা পড়েছেন।
তিনে নেমে মুমিনুল খেলেছেন ৭৩ বল। লাঞ্চের পর রাহির বলে টপ অফ দ্য অফে হয়েছেন বোল্ড। এর আগে মুশফিক ও পরে মোসাদ্দেককে ফিরিয়েছেন রাহি। ১০ ওভার বোলিং করে ৪ মেইডেনসহ ২২ রানে তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট। অবশ্য টানা বোলিংয়ে তার ক্র্যাম্প আশঙ্কা জাগিয়েছিল মুহুর্তের জন্য, শেষ পর্যন্ত গুরুতর কিছু হয়নি তার।
মোসাদ্দেক ফিফটি করতে খেলেছেন ৬০ বল, ইনিংসে ৮ চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। রাহির অফস্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে হয়েছেন কট-বিহাইন্ড। আগেরদিন মুশফিকের মতো ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
শেষদিকে বোলিংয়ে এসে ঝলক দেখিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, ৭.৩ ওভার বোলিং করে ৪ মেইডেনসহ ৩ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৪ রানে। টেস্ট দলের বাইরে থাকা মোস্তাফিজ করেছেন ১ ওভারই। ১০ ওভার বোলিং করেছেন সাকিব, গুণেছেন ৪১ রান।