• আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট
  • " />

     

    চট্টগ্রামে স্পিন-ফাঁদ না দেখলেই বিস্মিত হবেন আফগানিস্তান কোচ

    চট্টগ্রামে স্পিন-ফাঁদ না দেখলেই বিস্মিত হবেন আফগানিস্তান কোচ    

    অনুশীলন একেবারে কম হয়নি তাদের। বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজের প্রায় দিন দশেক আগে থেকেই আরব আমিরাতে নিবিড় অনুশীলন করেছে আফগানিস্তান দল, আফগান বোর্ড নিয়মিতই সেখানকার অনুশীলনের ছবি হালনাগাদ করেছে সামাজিক গণমাধ্যমে। এরপর বাংলাদেশে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও ব্যাটে-বলে অনুশীলন বেশ ভালোই হয়েছে। তবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ অ্যান্ডি মোলস আজ অনুশীলনের পর নিজেদের ‘আন্ডারডগ’ দাবি করে নিরাপদ পথেই হাঁটলেন। বললেন, বাংলাদেশ যদি স্পিন-ফাঁদ না পাতে তাহলেই তিনি বরং বেশি বিস্মিত হবেন।

    এমনিতে টেস্ট ক্রিকেটে আফগানিস্তান এখনও সদ্যোজাত শিশু। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর মাত্র দুইটি ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। আর দেশের মাঠে বাংলাদেশের রেকর্ডও জানেন মোলস। নিজেদের কাজটা যে অনেক কঠিন হবে, সেটা নিয়ে তাই সন্দেহ নেই তার, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমাদের সমীহ অগাধ। ওরা আমাদের এক ধাপ ওপরে। অবশ্যই ওদের আমরা ভয় পাই না। তবে সম্মান করি। দেশের মাটিতে অনেক দিন ধরেই ওরা দারুণ ক্রিকেট খেলে আসছে। আমরা অবশ্যই এখানে আন্ডারডগ। অনেক বড় দলই এখানে এসে ভুগেছে। এ নিয়ে আমাদের কোনো বিভ্রান্তি নেই যে এইটা হবে আমাদের দক্ষতার কঠিন একটা পরীক্ষা। তবে আমরা যদি মনযোগ ধরে রাখতে পারি, পরের পাঁচ দিনে আমরা হয়তো স্পেশাল কিছু করলেও করতে পারি।’

    আফগানরা অবশ্য এই টেস্টের জন্য আঁটঘাঁত বেঁধেই অনুশীলন করছে। আবু ধাবির পর বাংলাদেশেও অনুশীলন চলছে নিবিড়। নিজেদের কী করতে হবে, সেটাও ভালোমতোই জানেন মোলস, ‘আমি আসলে আলাদা কোনো জায়গা নিয়ে চিন্তিত নই। সব বিভাগেই আমাদের আরও বেশি ধারাবাহিক হতে হবে। আমরা মাত্র নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলছি। আমাদের আরও বেশি সময় নিয়ে ব্যাট করতে হবে। দ্বিতীয় আর তৃতীয় স্পেলে আমাদের বোলারদের আরও ভালো বোলিং করতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, ফিল্ডিং করার সময় আমাদের মনযোগ যেন আরও বেশি থাকে। এই ফরম্যাটে আমরা একদমই শিশুতোষ অবস্থায় আছি বলা যায়। তবে আমি কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। আমরা যদি ভালো করতে নাও পারি, কিছু হলেও তো শিখতে পারব আমরা। টেস্ট ক্রিকেট যত বেশি খেলব, ততই আমাদের সব বিভাগে আরও বেশি ভালো করতে হবে।’

     

     

    কিন্তু স্পিনের প্রসঙ্গটা চলে আসছে বার বার। এই মাঠে সর্বশেষ টেস্টে বাংলাদেশ মাত্র একজন পেসার নিয়ে নেমেছিল। মোস্তাফিজ সেবার মাত্র চার ওভার বল করেছিলেন, এবার তো দলেই নেই। এই টেস্টেও বাংলাদেশ কোনো পেসার নিয়ে খেলবে না, এমন সম্ভাবনাই প্রবল। আফগান কোচের কথা শুনে ধারণা পাওয়া পাওয়া গেল, তারাও এমন কিছুই আশা করছেন, ‘আমি ওদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে বিস্মিত নই। শেষ কয়েকটি ম্যাচে ওরা কোন বোলারদের খেলিয়েছে সেটা আমরা দেখেছি। ক্রিকেট তো অনেক বছর ধরে দেখছি। হোম অ্যাডভান্টেজ তো আসলে এটাই। শক্তিশালী একটা স্পিন আক্রমণ না দেখলেই বরং আমি বিস্মিত হব। আমাদের নিজেদেরও একটা ভালো স্পিন আক্রমণ আছে।’

    কিন্তু দুই দলের স্পিন আক্রমণের তুলনাটা কেমন হবে তার চোখে? মোলস সেরকম কিছু করতে রাজি হলেন না। তবে নিজেরা কেমন একাদশ খেলাবেন, শেষ পর্যন্ত উইকেট দেখেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে চান, ‘ওরা দেখলাম কয়েকটা উইকেট তৈরি করেছে। শেষ পর্যন্ত কোনটা ব্যবহার করবে সেটা জানার পর কিছু বলতে পারব। তবে আমাদের সবাই ফিট এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত। কোন উইকেটে খেলা হবে সেটা জানার পর আমরা একাদশ চূড়ান্ত করতে পারব।’

    আফগানরাও কি বাংলাদেশের পথেই হাঁটবে?