'ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই হতে পারে'
মেহেদী হাসান মিরাজের টেস্ট ক্যারিয়ারের তিন বছর হয়ে গেছে প্রায়। ২০ টেস্ট মানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিছুটা অভিজ্ঞই বলা যায়। তবে সংবাদ সম্মেলনে আজ মিরাজকে এমন তোপ সামলাতে হলো, স্নায়ুর ওপর দিয়ে বড় একটা চাপই গেল। মিরাজ অবশ্য দলের প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন, সংবাদ সম্মেলনে এসে শুনিয়ে গেলেন সেই পুরনো কথা, ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই হতে পারে।
প্রশ্নটা অনেকভাবেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করা হলো মিরাজকে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের আশা বাস্তবসম্মত কি না, সেই প্রশ্ন উঠল ভালোভাবেই। ইতিহাস বলছে, এই টেস্টে বাংলাদেশের জন্য জয় এখন সাঁতরে কর্ণফুলী নদী পার হওয়ার মতোই কঠিন। চতুর্থ ইনিংসে ২১৭ রানের বেশি তাড়া করে জেতার কীর্তি নেই বাংলাদেশের, সেটাও সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ৯৬ রানের জন্য। মিরাজ আশাবাদী, এখনও যে কোনো কিছুই হতে পারে, ‘আসলে ক্রিকেটে সবকিছুই হতে পারে। আমরা চেষ্টা করব, এখনও দুই দিন সময় আছে। প্রথমে কাজ হচ্ছে ওদের দুই উইকেট নেওয়া। এরপর আমাদের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দায়িত্ব বুঝে সেটা পালন করবে। আমি মনে করি, ক্রিকেটে সব কিছুই হতে পারে। হারা ম্যাচ অনেকে জিততে পারে, জেতা ম্যাচ হেরে যায় অনেকে। এরকম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা দেখেছি, আপনারাও দেখেছেন। অবশ্যই ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। এখানে সবাইকে অবদান রাখতে হবে।’
কিন্তু এমন ম্যাচে জয়ের আশা করা কি আসলেই বাস্তবসম্মত? মিরাজ এবারও ভাঙলেন না, ‘আমাদের জন্য বিষয়টা অবশ্যই টাফ। এত রান তাড়া করে হয়তো কয়েকটা দল জিতেছে, বেশির ভাগই হেরেছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা করতে বাধা নেই। আমাদের সুযোগ আছে। তারপর যদি হেরে যাই বা জিতে যাই দিন শেষে আমরা চেষ্টা করব। আমরা যদি বিশ্বাস করি যে ভালো কিছু করতে পারব। একটা ইনিংস আমরা খারাপ খেলেছি, এর মানে এই না দ্বিতীয় ইনিংসও খারাপ খেলব। আমরা যদি ভালো করি, তাহলে ভালো কিছুর সম্ভাবনা থাকবে।’
প্রথম ইনিংসে নিজেদের দুর্ভাগ্যকেও দায়ী করলেন সেজন্য, ‘আসলে দেখেন যে আমাদের ব্যাটসম্যানরা যারা আউট হয়েছে যেমন মুশফিক ভাই দুর্ভাগ্যজনক ছিল, বুটে লেগে ক্যাচ হয়েছে। আর কয়েকটাতে বল নিচু হয়ে আউট হয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটসম্যাণর যথেষ্ট পরিণত, তারা ভাল করে জানে ইনিংস কীভাবে বিল্ড আপ করতে হবে। পরের ইনিংসে আমরা যেন ভালো করি সেই চেষ্টা করব।’
শুধু ভালো না, এই টেস্টে এখন বাংলাদেশকে অসাধারণ কিছুই করতে হবে।