আফগানদের ধৈর্যের প্রশংসা করলেন মিরাজ
তরুণ আফগান ব্যাটসম্যান ইব্রাহীম জাদরান সংবাদ সম্মেলনে এসে বলে গেলেন, তাদের জয়ের সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ। হয়তো নিজেদের ওপর চাপ না নিতে একটু কমিয়েই বলেছেন জাদরান, বাস্তবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ১০ শতাংশ বললেও বোধ হয় বেশি হয়ে যায়। তবে আফগানদের এই পরিমিতিবোধ নজর কেড়েছে মেহেদী হাসান মিরাজেরও। তাদের ধৈর্যের ব্যাপারটাই মিরাজ আজ সংবাদ সম্মেলনে বললেন আলাদা করে।
এক দলের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাস ২০ বছরের, আরেক দলের দুই টেস্টের। অথচ মাঠের পারফরম্যান্স থেকে শরীরী ভাষা সবকিছুই বলছে তার উলটো। আফগান ব্যাটসম্যানরা দেখ্যে দিয়েছেন কীভাবে এই উইকেটে ব্যাটিং করতে হয়। বিশেষ করে তরুণ ইব্রাহীম জাদরানের ব্যাটিং নিয়ে আলোচনা হওয়াই উচিত বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে। আউট হওয়ার শট বাদ দিলে মনযোগ ধরে রেখেছিলেন পুরো ম্যাচে। ভালো বল সামলেছেন ধৈর্য নিয়ে, আর বাজে বল শায়েস্তা করেছেন। মিরাজও আফগান ব্যাটসম্যানদের ধৈর্যের প্রশংসা করলেন, ‘ওরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছে, অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যাটিং করেছে। আমি যখন বোলিং করেছি, অনেক কষ্ট করে উইকেট নিতে হয়েছে। ওরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলছে, এটা মানতেই হবে।’
কিন্তু তিন টেস্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে কীভাবে ওরা বাংলাদেশকে তাদের মাটিতেই এভাবে কোণঠাসা করেছে। মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটাই বললেন মিরাজ, ‘টেস্ট ক্রিকেট কিভাবে খেলতে হয়, সেটা তারা দ্রুত মানিয়ে নিতে পেরেছে। এটাই ওদের সাফল্য এনে দিয়েছে। আমার কাছে মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্যটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওরা জুটি গড়ার কারণে আমরা চেষ্টা করছিলাম ওদের জুটি ভাঙ্গার। কিছু সময়ের জন্য শরীর কিছুটা হলেও ছেড়ে দেয়। সবখানেই এটা হতে পারে।’
নবীন হওয়ার কারণে ওদের তাগিদটা বেশি ছিল, এমনও মনে করছেন মিরাজ, ‘ওরা কিন্তু মাত্র টেস্ট ক্রিকেট শুরু করেছে। ওদের মধ্যে রোমাঞ্চটা আরও বেশি কাজ করবে। ওরা চাইবেই টেস্টে ক্রিকেটের মাধ্যমে বিশ্বকে দেখানোর। ওরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে আমাদের এখানে। আমাদের প্রস্তুতিও ভালো ছিল। কিন্তু অনেক সময় ভালো সময়, খারাপ সময় যায়-এটাই হয়তো হয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য দুইটা দিন আমাদের ভালো যায়নি।’
বাকি দুই দিনে কি অলৌকিক কিছু হবে?