• সিরি আ
  • " />

     

    নিজের পরিচয় দিলেন রোনালদোকে বার্গার খাওয়ানো সেই নারীদের একজন

    নিজের পরিচয় দিলেন রোনালদোকে বার্গার খাওয়ানো সেই নারীদের একজন    

    পিয়ার্স মরগানের কাছে সাক্ষাৎকারে বলা ওই ঘটনার পর ভাইরাল হয়ে যায় ব্যাপারটা। সেই কৈশোরে লিসবনে থাকার সময় ম্যাকডোনাল্ডে কাজ করা তিন নারী রোনালদোদের বার্গার খাইয়েছিলেন। রোনালদোর আক্ষেপ, এরপর তাদের আর কখনো খুঁজে পাননি। তবে এরপর তুমুল খোঁজ শুরু হয়ে যায় তাদেরকে বের করার। শেষ পর্যন্ত পলা লেসা নামের এক পর্তুগিজ নারী জানিয়েছেন, সেই তিনজনের একজন ছিলেন তিনি।

    আইটিভিকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে রোনালদোর আক্ষরিক অর্থেই নিজের হৃদয়ের কথা বলতে ব্যাকুল ছিলেন রোনালদো। এমন অনেক কিছুই বলেছেন, যা আগে কখনো বলেননি। ছোটবেলা থেকে কৈশোর পর্যন্ত নিজের বেড়ে ওঠার কথা বলেছেন সবিস্তারে। লিসবনে থাকার সময় দিন শেষে একটা বার্গারের জন্য হাপিত্যেশ করতে হতো। পাশের ম্যাকডোনাল্ড সুপারশপে গিয়ে দিনের শেষে খোঁজ করতেন কোনো পড়ে থাকা বার্গার টার্গার আছে কি না। সেখানে এডনা নামের এক নারী ও তার দুই মহিলা সহকর্মী ছিলেন। প্রায়ই রোনালদোদের এটা ওটা এনে দিতেন তারা। এরপর রোনালদো কালের প্রবাহে স্পোর্টিং লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার, মাদ্রিদ হয়ে বিশ্বজয় করেছেন। কিন্তু নিজের অভাবের দিনে, দৈন্যের দিনে সেই তিন নারীর অনুগ্রহের কথা ভোলেননি। এরপর অনেক চেষ্টা করেছিলেন তাদের খুঁজে বের করার, কিন্তু পাননি। কখনো যদি খুঁজে পান, তাদের সঙ্গে একদিন ডিনার করতে চান সেটাও বলেছিলেন।
     

     

     

    সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পর সেই তিন নারীকে খুঁজে বের করার জন্য শুরু হয়ে যায় তোলপাড়। শেষ পর্যন্ত পাউলো লেসা নামে এক নারী জানালেন নিজের পরিচয়। একটি পর্তুগিজ রেডিও স্টেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ওখানে তিন জন ছেলেদের একজন ছিলেন রোনালদো। সম্ভবত সবচেয়ে ভীরুদের একজন ছিল সে। প্রতি সপ্তাহেই প্রতিদিন রাতে বোধ হয় এরকম হতো। এখনও মনে পড়লে হাসি পায় আমার। আমার ছেলে মনে করেছিল এটা বানানো গল্প, কারণ ও এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না ওর মা রোনালদোকে হ্যামবার্গার খাওয়াত।’

     

     

    লেসা বলেছেন, তার স্বামী তখন থেকেই জানতেন, ‘আমার স্বামী তখন থেকেই জানতেন এটা। মাঝে মাঝে আমাকে নিয়ে আসার জন্য রেস্টুরেন্টে যেতেন, রোনালদোকেও চোখে পড়েছিল তার। এত আগের কিছু ভেবে আসলেই মজা লাগছে। ও মানুষ হিসেবে কতটা বড়, সেটাই এর প্রমাণ। সে যদি কখনো আমাকে খাওয়ার দাওয়াত দেয়, অবশ্যই আমি যাব। ওকে আমি ধন্যবাদ দেব। আর ওই সময় নিয়ে গল্প করার সুযোগ হবে আমাদের নিশ্চয়!’