• সিরি আ
  • " />

     

    বুফনের রেকর্ডের ম্যাচে জুভেন্টাসকে জেতালেন রোনালদো

    বুফনের রেকর্ডের ম্যাচে জুভেন্টাসকে জেতালেন রোনালদো    

    সিরি আ

    ফলাফল জুভেন্টাস ২-১ ভেরোনা


    অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ঠিক সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দুই গোলের লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল জুভেন্টাসকে। সিরি আ-তে হেলাস ভেরোনার বিপক্ষে তাই একটু বেশিই তেতে ছিলেন রোনালদো, পুরো খেলায় তার শারীরিক ভাষা অন্তত সে জানানই দিয়েছে। রোনালদোও স্বরূপে ফিরেছেন; গোল করেছেন, আবার করিয়েছেনও। আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে পিছিয়ে পড়েও ভেরোনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস। 

    তুরিনের বুড়িদের দুই গোলেই রোনালদোর সরাসরি অবদান থাকলেও জুভেন্টাসের জয়ে আরেকজনের কথা না বললেই নয়। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে অবিশ্বাস্য এক সেভে লাজোভিচকে ফিরিয়ে দিয়েছেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। এই গ্রীষ্মে তুরিনে ফেরার পর ভেরোনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ‘দ্বিতীয় অভিষেক’ হয়েছিল বুফনের। আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামেই ভাগ বসালেন ইতালি জাতীয় দলের সতীর্থ পাওলো মালদিনির ক্লাব পর্যায়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে (৯০২)। দুর্দান্ত সেভে জয় নিশ্চিত করা বুফনও জানান দিলেন; এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি।

     

    সমতায় ফেরার পর রোনালদো এবং জুভেন্টাসের উদযাপন

     

    শেষদিকে ড্র ছিনিয়ে আনতে না পারলেও তুরিনে ম্যাচের শুরুতে বড়সড় এক অঘটনেরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল ভেরোনা। ১৮ মিনিটে ডিবক্সে স্ট্রাইকার দি কারমিনকে ফেলে দেন জুভেন্টাস ডিফেন্ডার দেমিরাল, পেনাল্টি পায় ভেরোনা। বুফনকে পরাস্ত করলেও কারমিনের শট প্রতিহত হয় বারপোস্টে, ফিরতি বলে মিগুয়েল ভেলোসোর শটও বুফনকে ফাঁকি দিলেও আবারও ফিরে আসে বারে লেগে। কিন্তু জুভেন্টাসকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ দেননি ভেলোসোই। পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের শট বারে প্রতিহত হওয়ার পর বল নিয়ন্ত্রণে এনে ডিবক্সে ক্রস করেন ফারাওনি। লিওনার্দো বনুচ্চির ক্লিয়ারেন্সে ডিবক্সের প্রায় ২৫ গজ দূরে বল পেয়ে যান ভেলোসো। জুভেন্টাসের রক্ষণভাগ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগেই তার দুর্দান্ত এক হাফভলিতে লিড নেয় ভেরোনা।

     

     

    বনুচ্চিরা দমে গেলেও মনোবল হারাননি রোনালদো। নিজেদের জাল থেকে বল নিয়ে আসলেন সেন্টারে, দলকে তাগাদা দিলেন জেগে ওঠার। রোনালদোর অনুপ্রেরণায়ই যেন জ্বলে উঠল জুভেন্টাস। মিনিট দশেক পরই সমতায় ফিরল তারা, রোনালদোর পাস থেকেই। ৩১ মিনিটে ডিবক্সের প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে রোনালদোর পাস থেকে দারুণ এক শটে ‘তুরিনের বুড়ি’দের হয়ে নিজের প্রথম গোল করেন অ্যারন রামসি। সমতায় ফেরার পরপরই লিডও নিতে পারত জুভেন্টাস। ৩৮ মিনিটে ডিবক্সে বাইরে থেকে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে রোনালদোর নেওয়া শট বার ঘেঁষে চলে যায় গোলের বাইরে দিয়ে। অবশ্য প্রথমার্ধে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই ভেরোনার জালে বল পাঠিয়েছেন রোনালদো।

     

     

    লিড নেওয়ার খুশিতে রোনালদোর কাঁধে চড়ে বসলেন কুয়াদ্রাদো

     

    ৪৯ মিনিটে হুয়ান কুয়াদ্রাদোকে ফাউল করে মরিজিও সারির দলকে পেনাল্টি উপহার দেন গিন্টার। দি কারমিনের মত অবশ্য ভুল করেননি রোনালদো। লিড নেওয়ার পরপরই রদ্রিগো বেন্টাঙ্কুরের জায়গায় মিরালেম পিয়ানিচকে নামিয়ে দেন সারি। আক্রমণের ধার যেন আরও বেড়ে যায় তাদের। পিয়ানিচের ক্রসেই ব্যবধান বাড়াতে পারত জুভেন্টাস, কিন্তু এবারও ভাগ্য সহায় হয়নি রোনালদোর। ৭১ মিনিটে তার হেড দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন ভেরোনা গোলরক্ষক সিলভেস্ত্রি।

    পুরো ম্যাচে ভেরোনার গোলে মোট ১২টি শট নিয়েছিলেন রোনালদো। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিলেন রোনালদোই। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন-এ উঠে আসল তুরিনের বুড়িরা। মালদিনির রেকর্ডে ভাগ বসানোর ম্যাচটা জয় দিয়েই স্মরণীয় করে রাখলেন বুফন।