• সিরি আ
  • " />

     

    জুভেন্টাসকে পথেই রাখলেন পিয়ানিচ-রোনালদো

    জুভেন্টাসকে পথেই রাখলেন পিয়ানিচ-রোনালদো    

    ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিশ্রাম থেকে ফেরার ম্যাচ। জিয়ানলুইজি বুফনের ইতিহাস গড়ার ম্যাচ। উপলক্ষ দুইটি পন্ড করে দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করেছিলেন স্পাল গোলরক্ষক এনট্রিট বেরিশা।  শেষ পর্যন্ত সেটা করতে পারেননি, রোনালদো শেষ পর্যন্ত পেয়েছেন গোল। তার আগে মিরালেম পিয়ানিচও লক্ষ্যভেদ করায় শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছে বিয়াঙ্কোনেরিরা।

    চোট সমস্যায় বেশ জর্জরই ছিল জুভেন্টাস। দানিলো, দি শিলিও, কিয়েলিনি, ডগলাস কস্তাসহ ছিলেন না অনেকে। বুফন অবশ্য নেমেছিলেন, তাতেই একটা ইতিহাস হয়ে গেল। পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ারে ৯০৩তম ম্যাচ খেলতে নামলেন আজ, ৯০২টি ম্যাচ খেলেছিলেন পাওলো মালদিনি। তবে বুফনকে কার্যত আজ তেমন কিছু করতে হয়নি, আলো যা কাড়ার সব কেড়ে নিয়েছেন বেরিশাই।

    প্রথমার্ধের শুরুটা একটু ম্যাড়ম্যাড়েই ছিল। সেভাবে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে পারছিল না জুভেন্টাস। প্রথম পরিষ্কার সুযোগের জন্য তাই অপেক্ষা করতে হয় ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। দারুণ এক প্রতিআক্রমণ থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন পাউলো দিবালা। বাঁ পায়ে একটু কাট করে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু বেরিশা এক হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছেন নিচু সেই শট। তার খানিক পরেই আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় জুভেন্টাস। রোনালদোর ক্রস থেকে অ্যারন রামসে গোল করেই ফেলেছিলেন। তার হেডটা বেরিশাকে ফাঁকি দিয়ে জালে চলে যাচ্ছিলই। কিন্তু বুটের ডগা দিয়ে সরে যেতে যেতেও কীভাবে যেন শটটা ঠেকিয়ে দিয়েছেন। যদিও প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগেই আর পারেননি বেরিশা। এবারও একটা ক্রস পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করেছিলেন, সেটা খেদিরা সাজিয়ে দেন পিয়ানিচের জন্য। ২০ মিটার দূর থেকে করা দুর্দান্ত ভলিটা জড়িয়ে যায় জালে। যদিও ভালদিওফরির গায়ে লেগে দিকবদল না করলে বেরিশা এই শটও ঠেকিয়ে দিতে পারতেন।

    দ্বিতীয়ার্ধে জুভেন্টাস আরও জোরেশোরে চেপে ধরে প্রতিপক্ষকে। এবার রোনালদোও মরিয়া হয়ে ওঠেন। একটি গোল করিয়েই ফেলেছিলেন, কিন্তু এবারও সেই বেরিশা। মাত্র কয়েক গজ দূর থেকে খেদিরার ডাইভিং হেড অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন। খানিক পর রোনালদোর ডান পায়ের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন আরও একবার। যখন মনে হচ্ছিল, রোনালদোর আর গোল পাওয়া হবে না, শেষ পর্যন্ত এলো সেটি। বাঁ প্রান্তে দারুণ কিছু পাস বিনিময়ের পর দিবালার মাপা ক্রসটা এসে পড়ে রোনালদোর মাথায়। এবার বেরিশার দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল চলে যায় জালে। শেষ মুহূর্তে রোনালদোর শট আরও একবার দারুণভাবে ফিরিয়েছেন। নইলে আজ হ্যাটট্রিকও হয়ে যেতে পারত সিআর সেভেনের।

    এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত জুভেন্টাস রইল সবার ওপরেই, রাতে যদিও সাম্পদোরিয়াকে হারালে ইন্টার মিলান টপকে যাবে তাদের।