• সিরি আ
  • " />

     

    ইন্টারের অভিষেকে গোলের সাথে লাল কার্ডও পেলেন সানচেজ

    ইন্টারের অভিষেকে গোলের সাথে লাল কার্ডও পেলেন সানচেজ    

    সিরি আ

    ইন্টার মিলান ৩-১ সাম্পদোরিয়া 

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে ইন্টার মিলানে এসেছিলেন অ্যালেক্সিস সানচেজ। ইন্টারের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে সানচেজ অপেক্ষা করতে হয়েছে ছয় ম্যাচ। সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ইন্টারের হয়ে তার অভিষেক ম্যাচটা ঘটনাবহুল হয়েই থাকল। প্রথমবারের মতো ইন্টারের হয়ে খেলতে নেমে গোল পেয়েছেন সানচেজ, এরপর লাল কার্ড দেখে মাঠও ছাড়তে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সাম্পদোরিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার। 

    ১২ মিনিটে সানচেজ গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন ইন্টারকে। তার ক্রসে আলেসান্দ্রো বাস্তোনির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। আট মিনিট পর ইন্টারকে লিড এনে দেন স্টেফানো সেনসি। লাউতারো মার্টিনেজের পাসে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সেনসির ডান পায়ের জোরালো শট আটকাতে পারেননি সাম্পদোরিয়া গোলরক্ষক। 

    অভিষেকেই গোল, উচ্ছ্বাসে ভাসছেন সানচেজ 

     

    দুই মিনিট পর সেনসির অ্যাসিস্টেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানচেজ। গোলপোস্টের ছয় গজ দূরত্বে বল পেয়ে ইন্টারের হয়ে নিজের প্রথম গোল করেন এই চিলি ফরোয়ার্ড। ইউনাইটেডের হয়ে শেষ ৪৫ ম্যাচে মাত্র পাঁচ গোল পাওয়া সানচেজ গোলের খাতা খুললেন সিরি আতে নিজের প্রথম ম্যাচেই। বিরতির কিছুক্ষণ আগে ইন্টারকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দিতে পারতেন মার্টিনেজ, তার শটও বাঁচিয়ে দেন সাম্পদোরিয়া কিপার ওডেরো। ৪৩ মিনিটের মাথায় আলবিন একদালকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন সানচেজ। 

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন সানচেজ। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের সাথে ধাক্কা লেগে বক্সের ভেতর পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। পেনাল্টির আবেদন জানালে রেফারি সেটা গ্রহণ করেননি, উল্টো ডাইভ দেওয়ার অভিযোগে সানচেজকেই হলুদ কার্ড দেখিয়ে দেন। ইন্টারের হয়ে অভিষেকটা তাই ৪৬ মিনিটই স্থায়ী হয়েছে তার। 

    ইন্টারের ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার ফায়দাটা ভালোভাবেই নিয়েছে সাম্পদোরিয়া। ৫৫ মিনিটে জ্যাকুব জান্কতোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরে। ছয় মিনিট পর রবার্তো গ্যাগলিয়ারদিনির গোলে আবার দুই গোলের লিড পায় ইন্টার। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইন্টার। এই জয়ে ৬ ম্যাচে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকল তারা। 

    এদিকে বুন্দেসলিগায় ফিলিপ কৌতিনিয়োর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্যাডারবর্নকে ৩-২ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ১৫ মিনিটে কৌতিনিয়োর দারুণ এক অ্যাসিস্টে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন সার্জি গ্ন্যাব্রি। ৫৫ মিনিটে গ্ন্যাব্রির বাড়ানো বলেই গোল পান কৌতিনিয়ো। ৬৮ মিনিটে কাই প্রোগারের গোলে ব্যবধান কমায় প্যাডারবর্ন। ৭৯ মিনিটে গোল করে বায়ার্নকে আবার দুই গোলের লিড এনে দেন রবার্ট লেভানডফস্কি। শেষ বাঁশি বাজার ছয় মিনিট আগে জামিলু কলিন্সের গোল শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন। ৬ ম্যাচে বায়ার্নের পয়েন্ট এখন ১৪। 

    বায়ার্ন জিতলেও পয়েন্ট হারিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। মারিও গোটজে ও মার্কো রয়েসের গোলে ওয়ের্ডার ব্রেমেনের সাথে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা। ৬ ম্যাচে এগারো পয়েন্ট নিয়ে ৭ম স্থানে নেমে গেছে ডর্টমুন্ড।