• সিরি আ
  • " />

     

    শ্রীলংকার প্রথম জয়ের রাতে বৃথা গেল হাসনাইনের হ্যাটট্রিক

    শ্রীলংকার প্রথম জয়ের রাতে বৃথা গেল হাসনাইনের হ্যাটট্রিক    

    স্কোর

    শ্রীলংকা ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (গুনাথিলাকা ৫৭, ফার্নান্দো ৩৩; হাসনাইন ৩/৩৭) 

    পাকিস্তান ১৭.৪ ওভারে ১০১ (ইফতিখার ২৫, সরফরাজ ২৪; উদানা ৩/১১, প্রদীপ ৩/২১)

    শ্রীলংকা ৬৪ রানে জয়ী

     

    ওয়ানডে সিরিজে খুব বেশি প্রতিরোধ গড়তে পারেনি শ্রীলংকা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে দেখা গেলো অন্য এক শ্রীলংকাকে। লাহোরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নুয়ান প্রদীপ ও ইসুরু উদানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ৬৪ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল লংকানরা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল তারা। 

    টসে জিতে লংকানদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন সরফরাজ আহেমদ। সিদ্ধান্তটা নিয়ে হয়তো বাকি সময়টা একটু আফসোসই করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ওপেনিং জুটিতে দানুস্কা গুনাথিলাকা ও আভিস্কা ফার্নান্দোর দারুণ এক জুটি শ্রীলংকাকে এনে দেয় স্বপ্নের সূচনা। গুনাথিলাকা ছিলেন শুরু থেকেই মারমুখী, পেয়েছেন ফিফটিও। 

    আট চার ও এক ছয়ে গুনাথিলাকা করেন ৩৮ বলে ৫১ রান, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫০। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পরপরই শাদাব খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। গুনাথিলাকাকে ফিরিয়ে ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন শাদাব। তার ফেরার পর কমে রানের গতিও। দ্বিতীয় উইকেটে ভানুকা রাজাপাকসেকে নিয়ে ৩৬ রানের জুটি গড়েন ফার্নান্দো। ৩৪ বলে ৩৩ রান করা ফার্নান্দো রান আউট হন শাদাবের থ্রোতে। 

    বৃথা গেল হাসনাইনের রেকর্ড গড়া হ্যাটট্রিক 

     

    উইকেট হাতে থাকলেও ইনিংসের শেষের দিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী রান তুলতে পারেনি শ্রীলংকা। কৃতিত্বটা সবচেয়ে বেশি মোহাম্মদ হাসনাইনের। মাত্র ১৯ বছর বয়সে হ্যাটট্রিক করে টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে কনিষ্ঠতম হ্যাটট্রিক পাওয়া বোলার হয়ে গেছেন এই পেসার। ১৬তম ওভারের শেষ বলে   রাজাপাকসেকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন হাসনাইন। ১৯ তম ওভারের প্রথম দুই বলে ফেরান দাসুন সাহাকা ও শেহান জয়সুরিয়াকে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে শ্রীলংকা তোলে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রান। 

    ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কখনোই জয়ের আশা জাগাতে পারেনি পাকিস্তান। দ্বিতীয় ওভারের শেষ দুই বলে বাবর আজম ও উমর আকমলকে ফেরান প্রদীপ। দলে ফেরাটা খুব সুখকর হয়নি আকমলের, কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। উদানার বলে বোল্ড হয়ে আহমেদ শেহজাদ ফিরলে চাপটা আরও বাড়ে। 

    চতুর্থ উইকেটে সরফরাজ ও ইফতিখার আহমেদ কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দিয়েছিলেন। দুইজন মিলে যোগ করেন ৪৬ রান। এই জুটি ভাঙ্গে দুই ব্যাটসম্যানের ভুল বুঝাবুঝিতে। ২৫ রান করে রান আউট হন ইফতিখার। সরফরাজ ফেরেন দুই ওভার পরেই। 

    পাকিস্তানের শেষ পাঁচ উইকেট পড়েছে ২৫ রানের ব্যবধানে। শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অংক ছুঁতে পারেননি। ১৪ বল বাকি থাকতেই ১০১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। তিন উইকেট করে নিয়েছেন উদানা ও প্রদীপ।