• প্রীতি ম্যাচ
  • " />

     

    ব্রাজিলকে রুখে দিল সেনেগাল

    ব্রাজিলকে রুখে দিল সেনেগাল    

    কোপা আমেরিকা জেতার পর থেকে জিততেই যেন ভুলে গেছে ব্রাজিল। কলম্বিয়ার সাথে ড্রয়ের পর গত মাসে কোপা ফাইনালিস্ট পেরুর কাছে হেরেই গিয়েছিল তিতের দল। সিঙ্গাপুরে সেনেগালের বিপক্ষে লিড নিয়ে জয়ের ধারায় ফেরারই ইঙ্গিত দিচ্ছিল ব্রাজিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাদিও মানেরাও রুখে দিয়েছে ‘সেলেসাও’দের। রবার্তো ফিরমিনোর গোলে লিড নিলেও ফামারা দিয়েধিওর পেনাল্টিয়ে ১-১ গোলে সেনেগালের সাথে ড্র করেছে ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে ম্যাচের ‘সেঞ্চুরি’ পূরণ করার দিনটা স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না নেইমার।

    ব্রাজিলের হয়ে আক্রমণে নেইমার, ফিলিপ কুতিনিয়োর সাথে নেমেছিলেন রবার্তো ফিরমিনো এবং গ্যাব্রিয়েল হেসুস। পরিচিত ‘নম্বর নাইন’ রোলে নয়, হেসুস খেলেছেন ডানপ্রান্তে। ব্রাজিল লিড নিয়েছে তার পাসেই। ৯ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে ভেতরে ঢুকে ফিরমিনোকে পাশ বাড়ান হেসুস, দুর্দান্ত চিপে সেনেগাল গোলরক্ষক গোমিসকে পরাস্ত করেন ফিরমিনো। ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করলেও দমে যায়নি সেনেগাল, উল্টো প্রথমার্ধের বাকিটা সময় আক্রমণে সুযোগ বেশি পেয়েছেন মানেরাই।

     

    দলকে লিড এনে দেওয়ার পর ফিরমিনো-হেসুসের উল্লাস

     

    ২৬ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরাতে পারতেন মানেই, কিন্তু তার বাপায়ের শট দক্ষহাতে ফিরিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসন মোরায়েস। মিনিট দশেক পর আবারও গোলের সুযোগ। এবার ডিবক্সের ভেতর থেকে সাদিও সানের শত ফিরিয়ে দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি গোলরক্ষক, অ্যালিসন বেকারের অনুপস্থিতিতে তিতেকে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়ে রাখলেন এডারসন। তবে প্রথমার্ধের শেষদিকে আর শেষরক্ষা হয়নি এডারসন এবং ব্রাজিলের।

    প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মানেকে ডিবক্সে ফেলে দেন মার্কিনিয়োস, পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। ১২ গজ থেকে অবশেষে এডারসনকে পরাস্ত করে দলকে সমতায় ফেরান দিয়েধিও। তবে প্রথমার্ধে শেষ হাসি হাসতে পারত ব্রাজিলই। ফিরমিনোর দুর্দান্ত এক থ্রু পাসে গোমিসকে একা পেয়ে যান নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের জার্সিতে শততম ম্যাচে গোলের দেখা পাননি তিনি, দুর্দান্ত সেভে নেইমারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন গোমিস।

     

    দলকে সমতায় ফেরানোর পর ফামারার উল্লাস

     

    প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধের ব্রাজিলকে সমানে সমান টেক্কা দিয়েছে সেনেগাল। কুলিবালিদের দৃঢ়তায় গোলের তেমন সুযোগই তৈরি করতে পারেননি নেইমাররা। ৫৩ মিনিটে নেইমারের ফ্রিকিক, বা ৬৪ মিনিটে কুতিনিয়োর দূরপাল্লার শটে সমস্যায় পড়তে হয়নি গোমিসকে। উল্টো প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের সেরা সুযোগগুলো পেয়েছিল সেনেগাল।

    ৮৪ মিনিটে বোদু এন’দিয়ায়ের বাঁকানো শট দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন এডারসন। তবে ম্যাচে ভাগ্যও বেশ সহায় ছিল তার। ৮৬ মিনিটে ডিবক্সের সামান্য বাইরে থেকে মানের আগুনে শট এডারসনকে পরাস্ত করলেও ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে। শেষদিকে আবারও ফ্রিকিকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার, কিন্তু এবারও তার শট চলে যায় গোলের ওপর দিয়ে। সেনেগালের সাথেও ড্র করে কোপা আমেরিকার পর থেকে জয়হীন থাকার রেকর্ডটা তিন ম্যাচে গিয়ে দাঁড়াল ব্রাজিলের।