ইউনাইটেড-জুভেন্টাস ম্যাচ পাতিয়েছিলেন ফার্গুসন?
খবরটা শুনে ফুটবল ভক্তদের চোখ নিশ্চয়ই কপালে উঠে গেছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ পাতানোয় সাহায্য করেছিলেন, এমন খবরে চক্ষু চড়কগাছ হওয়াই তো স্বাভাবিক। ইতালির বিতর্কিত ফুটবল এজেন্ট গুইসেপ্পে পালিয়ারার এক মামলার শুনানিতে আইনজীবী ব্রায়ান ও’নেইল জানিয়েছেন, ইউনাইটেড-জুভেন্টাস ম্যাচ পাতানোর জন্য পালিয়ারা ফার্গুসনকে ‘উপহার’ হিসেবে ৩০ হাজার পাউন্ডের একটি রোলেক্স ঘড়ি দিয়েছিলেন।
৬৪ বছর বয়সী পালিয়ারা সেই ২০০৪ সালে থেকেই ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। সিরি বি এর জেনোয়া-ভেনেসিয়া ম্যাচ পাতানোর দায়ে তাকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। ঐ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন দুই ক্লাবের প্রেসিডেন্টও। তদন্তের পর জেনোয়াকে তৃতীয় বিভাগে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালে পালিয়ারার কারণেই ইংল্যান্ড কোচ স্যাম অ্যালারডাইসকে চাকরি হারাতে হয়।
ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে যখন ডাগআউটে ছিলেন ফার্গি
ডেইলি টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানী রিপোর্টের পর কোচদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে নতুন করে মামলা চলছে পালিয়ারার বিরুদ্ধে। তাঁর সাথে অভিযুক্ত হয়েছেন পালিয়ারার বার্নসলির সাবেক কোচ টমি রাইট ও ফুটবল এজেন্ট ড্যাক্স প্রাইস।
সাউথর্যাক ক্রাউন আদালতে শুনানির শুরুতেই আইনজীবী ব্রায়ান বিচারককে জানিয়েছেন, অনেক আগে থেকেই ম্যাচ পাতানোর জন্য কোচদের ঘুষ দিয়ে আসছেন পালিয়ারাসহ অভিযুক্ত দুইজন, ‘পালিয়ারা জানিয়েছেন, ফার্গুসন দলবদলের সময় ঐসব এজেন্টদের সাথেই কাজ করতেন যারা তাকে টাকা দিতো। পালিয়ারাও তাকে টাকা দিয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগের ইউনাইটেড-জুভেন্টাসের একটি ম্যাচ পাতানোর জন্য ফার্গুসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। সাথে উপহার হিসেবে ৩০ হাজার পাউন্ডের একটি রোলেক্স ঘড়িও দিয়েছিলেন ফার্গুসনকে।’
আদালতে ব্রায়ান আরও জানান, লন্ডনে সাবেক ইংল্যান্ড কোচ স্টিভ ম্যাকক্লারেন, সাবেক আর্সেনাল ফুটবলার কানু ও ম্যানেজার হ্যারি রেডন্যাপের সাথেও বৈঠক করেছিলেন পালিয়ারারা।
ফার্গুসনের দায়িত্ব পালনকালে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৯৯৬ ও ২০০৩ সালে চারবার মুখোমুখি হয়েছে ইউনাইটেড-জুভেন্টাস। এর মাঝে তিনবারই হেরেছিল ইউনাইটেড। তবে কোন ম্যাচ পাতানোর জন্য ঘড়ি উপহার পেয়েছিলেন ফার্গুসন, সেটা অবশ্য বলেন পালিয়ারা।
সূত্র- দ্যা গার্ডিয়ান