• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    শেফিল্ড ইউনাইটেডের কাছে হেরে গেল আর্সেনাল

    শেফিল্ড ইউনাইটেডের কাছে হেরে গেল আর্সেনাল    

    আর্সেনালকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম অর্ধের ভেতরে ঢুকে পড়েছে ১৩ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা শেফিল্ড ইউনাইটেড। আর উনাই এমেরির অধীনে আর্সেনালের কোন পথে যাচ্ছে সেটা নিয়ে বেড়েছে সংশয়। অ্যাওয়ে ম্যাচে এমেরির অধীনে বরাবরই ধুঁকছিল আর্সেনাল। শেফিল্ডের কাছে হারটা সেই ক্ষত বাড়িয়ে দিল আরও। পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকার সুযোগটাও হাতছাড়া হলো তাই গানারদের।

    শেফিল্ড স্ট্রাইকার লেস মুসেত এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনিই হয়ে গেছেন শেফিল্ডের জয়ের নায়ক। প্রথমার্ধে কর্নার থেকে প্রথমে শেফিল্ড খেলোয়াড়ের হেডের পর গোলের কয়েক গজ দূরে বল পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সেখান থেকে কোনোমতে পা ছুঁয়ে গোল করেন মুসেত।  

    এর খানিকক্ষণ আগেই মুসেত দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন। সেটা শেফিল্ডকে না ভোগালেও নিকোলাস পেপের ভুল আর্সেনালকে ভুগিয়েছে শেষ পর্যন্ত। গোল হজমের আগে বাম দিক থেকে সিড কোলাসিনাচের ক্রসে ঠিকমতো পা ছোঁয়ালেই হয়ত গোল পেতে যেতেন আর্সেনালের সবচেয়ে দামী ফুটবলার। তবে সিক্স ইয়ার্ড বক্সের ভেতর থেকে সেই কাজটাই করতে পারেননি পেপে।


     

    প্রথমার্ধে শেফিল্ড গোলরক্ষককে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি আর। গ্রানিত শাকা একমাত্র গোলে শট করতে পেরেছিলেন। সেটা সহজেই ঠেকিয়ে দেন হেন্ডারসন। দলে নতুন আসা লেফটব্যাক কিয়েরান টিয়েরনিকে এদিনও বিবেচনা করেননি এমেরি। হেক্টর বেয়ারিন দলেই ছিলেন না। ফুলব্যাক পজিশনে কোলাসিনাচের সঙ্গে রাইটব্যাকে নেমেছিলেন কলাম চেম্বারস।

    মেসুত ওজিলকে এদিনও প্রয়োজন মনে করেননি এমেরি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে একটা হয়ত পিয়ের এমেরিক অবামেয়াং অন্তত হয়ত তার অভাবটা টের পাচ্ছিলেন। বল পজেশনে এগিয়ে থাকলেও  আর্সেনালের ফরোয়ার্ডরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন অকার্যকর মিডফিল্ডের কারণে। 

    এমেরি অবশ্য নিজের মতোই এগুচ্ছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে দানি সেবায়োসকে নামিয়েছিলেন তিনি। পরের অর্ধে আর্সেনালের গোলে প্রথম শট নিয়েছিলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি জায়গা থেকে নেওয়া তার শটও ভোগাতে পারেনি হেন্ডারসনকে। সময়ের সঙ্গে শেফিল্ড রক্ষণে মনযোগী হয়েছে আরও বেশি। শেষ বিশ মিনিটে তাই অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেত নেমেও বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি শেফিল্ডের জয়ে।

    শূন্য হাতে ফিরে আর্সেনাল নেমে গেছে পাঁচে। ১৭ পয়েন্ট তাদের। মৌসুমের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ জেতার পর থেকে ঘরের বাইরে আর ম্যাচ জেতা হয়নি আর্সেনালের। সব মিলিয়ে শেষ ১৭ ম্যাচে তাদের জয় মাত্র চারটি। অথচ এই শেফিল্ড ঘরের মাঠে শেষ তিন ম্যাচেই হেরেছিল। এদিনও সেটপিসে গোল হজম করেছে আর্সেনাল। গত মৌসুমের শুরু থেকে সেটপিসে গোল হজম করার দিক দিয়ে তিন নম্বরে এখন এমেরির দল। মুসেতের গোলটি প্রিমিয়ার লিগে সেটপিস থেকে আর্সেনালের হজম করা ২২ নম্বর। শুধুমাত্র ওয়াটফোর্ড আর এভারটন এগিয়ে আছে আর্সেনালের চেয়ে।