• লা লিগা
  • " />

     

    এবার ধর্মঘটে গেলেন স্পেনের নারী ফুটবলাররাও

    এবার ধর্মঘটে গেলেন স্পেনের নারী ফুটবলাররাও    

    সাকিব-তামিমদের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডাকার দিন দুয়েক পরই আরও এক ধর্মঘটের ডাকে সরগরম ক্রীড়াঙ্গন। এবার দাবি-দাওয়া মেনে না নেওয়ার আগ পর্যন্ত খেলা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্প্যানিশ লিগের নারী ফুটবলাররা। খণ্ডকালীন চুক্তি এবং ন্যূনতম বেতনের দাবিতে একতাবদ্ধ হয়েছেন নারী লা লিগার প্রথম বিভাগের ১৬ দলের ফুটবলাররা।

    মাসের পর মাস ক্লাবগুলোর হর্তাকর্তাদের সাথে দফায় দফায় আলাপ-আলোচনার পরও সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় মাদ্রিদে ধর্মঘটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন শতকরা ৯৩ ভাগ ফুটবলাররা। স্প্যানিশ ফুটবলারদের ইউনিয়ন (এএফই) এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে বলে জানিয়েছেন ফুটবলাররা। নারীদের ফুটবলে ৩ নভেম্বরের পর আন্তর্জাতিক বিরতি থাকায় ১৬ তারিখ থেকে ধর্মঘট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মাদ্রিদে ধর্মঘটের পক্ষে ভোট দেওয়ার পর ১৬ ক্লাবের প্রায় ২০০ ফুটবলারকে একসাথে নিয়ে অ্যাথেটিক বিলবাওয়ের অধিনায়ক আইনহোয়া তিরাপু সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, "আমরা যাবতীয় ফুটবলীয় কর্মকান্ড থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। এতবার বৈঠকের পরও সমঝোতা না হওয়ায় আমাদের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তাই আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প পথ নেই ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া।"

     

     

    তিরপু আরও জানিয়েছেন; এই ধর্মঘট গত মৌসুমের শেষেই ডাকার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। কিন্তু ক্লাবগুলোকে আরও সময় দেওয়ার কথা ভেবে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেন তারা। কিন্তু এএফই প্রেসিডেন্ট ডেভিড আগাঞ্জো বলেছেন, মোট ১৮বার মিটিংয়ে বসলেও সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি ফুটবলার এবং ক্লাবের হর্তাকর্তারা। ধর্মঘট ডাকার আগে এএফই-এর মূল দাবি ছিল, নারী ফুটবলারদের বাৎসরিক আয় ১৬ হাজার ইউরো থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার ইউরো করা। খণ্ডকালীন চুক্তি নিয়েও একমত হতে পারেনি দুই পক্ষ। ফুটবলাররা চান খণ্ডকালীন চুক্তিতে বাৎসরিক আয় ১২ হাজার ইউরো হওয়া উচিত; কিন্তু ক্লাবগুলো বর্তমান বাৎসরিক আয়ের শতকরা ৫০ ভাগ, অর্থাৎ ৮ হাজার ইউরোর বেশি দিতে রাজি নন। 

    ক্লাবগুলোর এভাবে বেঁকে বসায় নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্ষুদ্ধ তিরাপু, "আমরা পেশাদারি ফুটবলার, ২৪ ঘণ্টা ফুটবল নিয়েই থাকতে হয়। নিজেদের শতভাগটাই দিতে হয় সবসময়। তাদের সাথে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি সমঝোতার, কিন্তু কোনওভাবেই সেটা সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্যই আমরা খেলা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়ার আগ পর্যন্ত।" তিরাপুর সাথে একমত আগাঞ্জোও, "আমরা সবসময়ই নারী ফুটবলারদের ব্যাপারে প্রশংসা শুনি। কিন্তু শুধু মুখের কথা নয়, কাজেও সেই শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ দেখতে চাই। নারীদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে আমাদের। তাদের দায়বদ্ধতার সমান আর্থিক নিশ্চয়তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।"

    মেয়েদের ফুটবলে বেতন নিয়ে বোর্ডের সাথে দ্বন্দ্ব নতুন নয় একেবারেই। এ বছরই পুরুষ দলের সমান বেতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল ফেডারেশনের সাথে দ্বন্দ্ব জড়িয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র নারী দলের ফুটবলাররা।