• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    দ্বিতীয়ার্ধের তিন গোলে তিন পয়েন্ট সিটির

    দ্বিতীয়ার্ধের তিন গোলে তিন পয়েন্ট সিটির    

    বল পায়ে রেখে প্রথমার্ধে নিজের স্বভাবসুলভ খেলাটাই খেলছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু ঘরের মাঠে গোলটাই পাওয়া হচ্ছিল না। উলটো অ্যাস্টন ভিলাও কাউন্টার অ্যাটাকে চোখ রাঙাচ্ছিল। বিরতির পর আর খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি সিটিকে। রাহিম স্টার্লিং এগিয়ে নিয়েছিলেন, এরপর ৫ মিনিটের ব্যবধানে আরও দুই গোল করে অনুমিত জয়টা পেয়ে গেছে পেপ গার্দিওলার দল। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে সিটি জয় পেয়েছে ৩-০ ব্যবধানে।  

    রদ্রি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ার পর ইলকে গুন্ডোয়ানকে তার জায়গায় একাদশে নামিয়েছিলেন গার্দিওলা। জন স্টোনস ফিরেছিলেন রক্ষণে, তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ফার্নান্দিনহো। রাহিম স্টার্লিং আর বের্নার্দো সিলভার সঙ্গে ছিলেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। ম্যাচের প্রথম সুযোগটা হাতছাড়া করেছিলেন হেসুসই। বক্সের ভেতর ভালো জায়গায় বল পেয়েও শট মেরেছিলেন বাইরে দিয়ে। তবে তার চেয়েও প্রথমার্ধে দৃষ্টিকটু গোল হাতছাড়া করেছেন ডেভিড সিলভা। সব কাজ ঠিক ঠাক করেও মেরেছেন তিনি বাইরে দিয়ে। 

    অবশ্য এক তরফা আক্রমণেই কাটেই সিটির প্রথমার্ধ। স্টোনস, ফার্নান্দিনহোদের বেশ কয়েকবার রক্ষণে পরীক্ষায়ও ফেলেছিল অ্যাস্টন ভিলা। তবে অ্যাটাকিং থার্ডের ফাইনাল পাসের দুর্বলতায় খুব বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করা হয়নি তাদের। বক্সের বাইরে থেকে একবার গোলে শট করেও এডারসনের ভালো সেভের কাছে আটকে গিয়েছিল ভিলা।

    বিরতির পর ২০ সেকেন্ডেই গোলের জন্য অপেক্ষায় ফুরিয়েছে সিটির। এডারসন নিজের সিক্স ইয়ার্ড বক্সের খানিকটা সামনে থেকে বাম পায়ে লং বল পাঠিয়েছিলেন, হেসুস করেছেন ফ্লিক। তাতে ভিলার রক্ষণ লাইনের পেছনে বল পেয়ে গিয়ে স্টার্লিং বক্সের ভেতর ঢুকে বাম পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন স্টার্লিং। এই মৌসুমে ১৪ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা দাঁড়াল ১৩।

    এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি সঙ্গী করে এরপর জয় নিশ্চিত করতে আর সমস্যা হয়নি সিটির। ভিলাও পিছিয়ে পড়ে রঙ হারিয়েছে পিছিয়ে পড়ে। ৬৫ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইন বাম প্রান্ত থেকে টার্ন নিয়ে ডান পায় ক্রস করেছিলেন। ডেভিড সিলভা পা ছোঁয়াতে চেয়েছিলেন, তার পেছনে ছিলেন স্টার্লিং। কেউ পা ছোঁয়াননি, সবার সঙ্গে গোলরক্ষককেও ফাঁকি দিয়ে সেই শটেই গিয়ে জড়িয়েছে ভিলার জালে। 

    এর কিছুক্ষণ পর জটলার ভেতর থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর লেট রান নিয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত ফিনিশে তৃতীয় গোলটি করেন গুন্ডোয়ান। তবে ম্যাচের শেষটা এরপরও মনোমতো হয়নি গার্দিওলার। ফার্নান্দিনহো ৮৭ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন। পরের ম্যাচে তাই ফার্নান্দিনোকেও দলে পাচ্ছেন না তিনি। 

    এই জয়ের পর আপাতত লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান তিনে কমিয়ে এনেছে সিটি। তবে আগামীকাল টটেনহামকে হারিয়ে দিলে আবারও ৬ পয়েন্ট এগিয়ে যাবে লিভারপুল।