• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    ৭ উইকেট নিয়ে ৬০০ উইকেটের ইতিহাস রাজ্জাকের

    ৭ উইকেট নিয়ে ৬০০ উইকেটের ইতিহাস রাজ্জাকের    

    ১ম স্তর, মিরপুর
    রংপুর ১ম ইনিংস ২২৪ অল-আউট (নাসির ৪০, রাজ্জাক ৭/৬৯)
    খুলনা ১ম ইনিংস ২৪/২* 


    রবিউল হক বোল্ড হয়েই ঢুকে গেলেন ইতিহাসে। প্রথম শ্রেণিতে আব্দুর রাজ্জাকের ৬০০তম শিকার যে তিনি। প্রথম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণিতে ৫০০ উইকেটের পর ৬০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন এই রাজ্জাক, তার ৬৯ রানে ৭ উইকেটের তোপে ২২৪ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে রংপুর। অবশ্য ১৭৪ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও রংপুর এতোদূর গেছে মূলত রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে, ৩২ বলে ৫ ছয় ও ১ চারে ৪২ রান করেছেন দশে নামা মূলত লেগস্পিনার এই তরুণ।  

    মিরপুরে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল রংপুর। শুরুর ছয় ব্যাটসম্যানের সবাই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক, একজন ছাড়া সবাই পেরিয়ে গেছেন ২০। তবে সর্বোচ্চ ৪০ রান নাসির হোসেনের। প্রথম সেশনে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তুলেছিল রংপুর, এর মাঝে একটি নিয়েছিলেন রাজ্জাক। চতুর্থ উইকেটে নাসির ও সোহরাওয়ার্দি শুভ মিলে যোগ করেছিলেন ৫৯ রান, এরপরই রংপুরের ইনিংসে নেমেছে ধস।
     


    ©
    প্যাভিলিয়ন


    নাসিরকে বোল্ড করে শুরু করেছিলেন রাজ্জাক, এরপর একে একে তিনি ফিরিয়েছেন ধীমান ঘোষ, সাজেদুল ইসলাম, আরিফুল হক ও রবিউল হককে। মাঝে শুভকে ফিরিয়েছিলেন মেহেদি হাসান। শেষ ব্যাটসম্যান মুকিদুল ইসলামকে নিয়ে রিশাদের ঝড় শুরু এরপরই। শেষ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৫০ রান, যার মধ্যে রিশাদের রানই ৪২। 

    রিশাদকে বোল্ড করে ইনিংস শেষ করেছেন রাজ্জাক, ইতিহাসগড়া দিনে তিনি নিয়েছেন ক্যারিয়ারে ৩৯তম বারের মতো ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে ৭ বা এর বেশি উইকেট তিনি এ নিয়ে নিলেন ১১তম বার। 

    ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা স্বস্তিতে নেই খুলনাও, রবিউল হকের জোড়া আঘাতে তারা হারিয়ে ফেলেছে ইমরুল কায়েস ও মইনুল ইসলামকে।

    ****

    ১ম স্তর, কক্সবাজার 
    রাজশাহী ১ম ইনিংস ২৩০ অল-আউট (শান্ত ৫৬, মুক্তার ৫৬*, সানজামুল ৪৯, সুমন ৩/৪৩, শুভাগত ৩/৫৭) 
    ঢাকা ১ম ইনিংস ০/০*


    নাজমুল হোসেন শান্ত, ৫৬। মুক্তার আলি, ৫৬*। সানজামুল ইসলাম, ৪৯। রাজশাহীর বাকি ৮ ব্যাটসম্যান ও এক্সট্রা মিলে করেছেন ৬৯ রান। রাজশাহী তাই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ২৩০ রানেই। ঢাকার সুমন খান ও শুভাগত হোম নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট, ২টি করে নিয়েছেন সালাউদ্দিন শাকিল ও জুবাইর হোসেন। 

    কক্সবাজারে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল রাজশাহী, এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। ৭ম উইকেটে এসে ৮৭ রানের জুটি গড়েছেন মুক্তার ও সানজামুল। এর আগে তাদের হাইলাইটস শান্তর ৫৬ রানের ইনিংস, ১০৮ বল খেলে ৭ চার ও ১ ছয়ে যেটি করেছেন তিনি। রাজশাহীর প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান সুমনের পেস ও শুভাগতর স্পিন-যুগলের শিকার হয়েছেন। 

    মুক্তার-সানজামুলের জুটি ভেঙেছেন লেগস্পিনার জুবাইর হোসেন, ১১২ বলে ৪ চারে ৪৯ রান করা সানজামুলকে ফিরিয়ে। এরপর শাকিল ও সুমন মিলে ছেঁটে দিয়েছেন রাজশাহীর লেজ। সুমনের বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফরহাদ রেজা আউট হওয়ার সময় ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুক্তার আলি, যিনি ১১০ বল খেলে মেরেছিলেন ২টি চার ও ৩টি ছয়। 

    শেষবেলায় ১ ওভার ব্যাটিং করতে হয়েছে ঢাকাকে, সানজামুলের ছয়টি বল নিরাপদেই পার করেছেন আব্দুল মজিদ।