• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    আইয়ুবের ১৬৩ রানের পরও সিলেটকে আটকাতে পারলো না মেট্রো

    আইয়ুবের ১৬৩ রানের পরও সিলেটকে আটকাতে পারলো না মেট্রো    

    ২য় স্তর, রাজশাহী
    ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৩১১/৮* ডিক্লে. (শামসুর ১১৪, আল-আমিন ৬৯, রেজাউর ৫/৬০) ও ২য় ইনিংস ৩৯৫/৬ ডিক্লে. (আজমির ৮০, আইয়ুব ১৬৩)
    সিলেট ১ম ইনিংস ৩৫১ অল-আউট (অমিত ১২৫, গালিব ৫৯, শহিদুল ৩/৬৩) ও ২য় ইনিংস ১৮৭/৪
    ম্যাচ ড্র


    মার্শাল আইয়ুবের ১৬৩ রানের ইনিংসের দিনে একটা প্রশ্ন নিজেদের করতেই পারে ঢাকা মেট্রো- আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে পারত কি তারা? আগেরদিনই ২০৫ রানে এগিয়ে থাকা তারা এদিন ব্যাটিং করলো আরও ২৬ ওভার। সিলেটকে ৩৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে ইনিংস ঘোষণা করল তারা। সিলেট হাঁটলো নিরাপদ পথেই। ড্র ম্যাচ মেট্রোর সমান ৪ পয়েন্ট পেলো এ ম্যাচ দিয়ে সিলেট, ২৬.৫৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্তরের শীর্ষেই থাকল প্রথম ম্যাচেই ইনিংস পরাজয়ে হোঁচ খাওয়া দলটি। আর ২১.৯১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই থাকলো মেট্রো। 

    ৪ উইকেটে ২৪৫ রানে এদিন ব্যাটিং শুরু করেছিল মেট্রো। আগেরদিন ৭৩ রানে অপরাজিত থাকা আইয়ুব সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন প্রথম সেশনের প্রথম অর্ধেই, তিন অঙ্কে যেতে ১৬৯ বল খেলেছিলেন তিনি। পরের ৬৩ রান তিনি করেছেন মাত্র ৪৩ বলে। অলক কাপালির বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তিনি মেরেছেন ২২টি চার, ১টি ছয়। 

    আইয়ুবের আগেই ১১০ বলে ৩০ রান করে ফিরেছিলেন জাবিদ হোসেন। এরপর শরিফুল্লাহর ৩১ বলে ২১ ও শহিদুল ইসলামের ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে ৩৯৫ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল মেট্রো, লাঞ্চের ঠিক আগে। 

    সিলেটকে অল-আউট করতে দুই সেশন ছিল মেট্রোর, ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ইমতিয়াজ হোসেনকে বোল্ড করে সে আশা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে শানাজ আহমেদ ও তৌফিক খানের ১২২ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি হতাশ করেছে তাদের। 

    ৭ চার ও ৫ ছয়ে ৮০ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে নিহাদুজ্জামানের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তৌফিক। তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার বনার আগে শানাজ করেছেন ১০৬ বলে ৬১ রান, ৯টি চার মেরেছেন তিনি। 

    ৫ রানের ব্যধানে অমিত হাসান ও শানাজের উইকেট হারিয়ে ফেলা সিলেটের আর বিপদ ঘটতে দেননি অলক কাপালি ও আসাদুল্লাহ গালিব। দুই প্রজন্মের দুই  ক্রিকেটার খেলেছেন দুই ধরনের ইনিংস। কাপালি ৫০ বল খেলে ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন, গালিব ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে বল খেলেছেন ২৫টি। 

    ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে থামতে হয়েছে তাসকিনকে। প্রথম ইনিংসে দারুণ সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন সিলেটের অমিত।   

    ****

    বরিশাল বনাম চট্টগ্রাম 


    বরিশাল প্রথম ইনিংস, ১৩ ওভারে ৭০/৩। ইনিংস ঘোষণা। 
    চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংস, ৬ ওভারে ৪৫/০। ম্যাচ ড্র।
    আগের তিন দিনই বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ম্যাচে সব মিলিয়ে হলো ১৯ ওভার। তাতে যা একটু ব্যাটিং অনুশীলন করলো দুই দল।