• প্রীতি ম্যাচ
  • " />

     

    দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে বছর শেষ করল ব্রাজিল

    দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে বছর শেষ করল ব্রাজিল    

    কোপা আমেরিকা জয়ের পর থেকেই খেই হারিয়েছিল ব্রাজিল। পরের ৫ ম্যাচের একটিতেও জেতা হয়নি তাদের। তবে বছরটা ব্রাজিল শেষ করল দারুণ এক জয় দিয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে  প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ব্রাজিল হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। 

    ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছেন লুকাস পাকেতা, ফিলিপ কুতিনিয়ো ও দানিলো। কুতিনিয়ো গোল করেছেন সরাসরি ফ্রি-কিকে। ২০১৪ সালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে নেইমার সবশেষ ব্রাজিলের হয়ে ফ্রি-কিক থেকে গোল করেছিলেন। ফ্রি-কিক থেকে সরাসরি গোল পেতে এর পর ব্রাজিলকে অপেক্ষা করতে হলো প্রায় সাড়ে ৫ বছর। 

    দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন তিতে। রক্ষণে ছিলেন না অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা, তার ক্লাব সতীর্থ মার্কিনিয়োস নেমেছিলেন। লেফটব্যাকে অ্যালেক্স সান্দ্রোর জায়গায় নেমে আলো কেড়েছেন রেনান্দ লদি। জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন ২১ বছর বয়সী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের লেফটব্যাক। 



    আর্জেন্টিনার বিপক্ষে একাদশে না থাকলেও ফিলিপ কুতিনিয়ো এদিন ছিলেন শুরু থেকেই। বক্সের বাইরে থেকে দারুণভাবে একজনকে কাটিয়ে ডান দিকে পাস বাড়িয়েছিলেন লদিকে। তার কাছের পোস্টে করা ক্রস থেকে হেড করে গোল পেয়ে যান লুকাস পাকেতা। ৯ মিনিটের ওই আক্রমণ থেকে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্রাজিলের কাজটা সহজ হয়ে যায় আরও। 

    দক্ষিণ কোরিয়া ব্রাজিলের রক্ষণের তেমন একটা পরীক্ষা নিতে পারেনি প্রথমার্ধে। হিউং মিন সন অবশ্য দূর থেকে চেষ্টা করেছিলেন, তবে অ্যালিসনকে হারাতে পারেননি তিনি। এর পর ৩৬ মিনিটে কুতিনিয়ো দুর্দান্ত এক গোল করে ব্রাজিলকে দুই গোলের লিড এনে দেন।  ২০ গজী ফ্রি-কিক থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে সরাসরি বল জালে জড়ান কুতিনিয়ো। 

    কুতিনিয়োর প্রথমার্ধটা অবশ্য আরেকটু হলেই অস্বস্তিকর হয়ে যেত একটু পরই। প্রথমার্ধ শেষের চার মিনিট আগে আরেকটু হলেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের জালেই ঢুকিয়ে দিতেন কুতিনিয়ো। বারপোস্টের কারণে অবশ্য বেঁচে গেছেন তিনি, দক্ষিণ কোরিয়াও তাই আর ফেরার সুযোগ পায়নি। 

    দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে আরও ধার বাড়ানো ব্রাজিলের তৃতীয় গোলটি পাওয়া সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল। গ্যাব্রিয়েল হেসুস, পাকেতা, কুতিনিয়োরা আক্রমণ করে গেলেও গোলটি অবশ্য পেয়েছেন দানিলো। লদির বাম দিক থেকে করা ক্রস বক্সের ঠিক মাথায় গিয়ে পৌঁছেছিল। দানিলো পেছন থেকে দৌড়ে এসে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোল করে ৬৫ মিনিটেই একরকম  জয় নিশ্চিত করে ফেলেন ব্রাজিলের। 

    দক্ষিণ কোরিয়ার এর পর ম্যাচে ফিরতে নাটকীয় কিছু করতে হত। ব্রাজিলের ১৮ গজ বক্সের ভেতরই ঢোকার সুযোগ হচ্ছিল না তাদের আর। সনরা তাই একের পর এক শট নিয়ে গেছেন বক্সের বাইরে থেকে। তবে অ্যালিসন সবসময়ই ছিলেন সতর্ক। তাই আর গোল খেতে হয়নি ব্রাজিলের।   

    জয় নিশ্চিত জেনে ৮০ মিনিট পেরুনোর পর তিতে তরুণদের সুযোগ দিয়েছেন। ডগলাস সোয়ারেস, এমারসন, রদ্রিগো গোজরা মাঠে নেমেছিলেন শেষদিকে। রবার্তো ফিরমিনোও মাঠে ছিলেন মিনিট দশে। তবে শেষদিকে আর গোল পাওয়া হয়নি ব্রাজিলের। 

    বছরের শুরু থেকে কোপা আমেরিকা পর্যন্ত ব্রাজিল এবার ম্যাচ হারেনি একটিও। কোপার পর ৫ ম্যাচের দুইটিতে হেরেছিল তিতের দল, বাকি তিনটি ড্র। দুই অর্ধ দুই রকম গেলেও শেষটা মনোমতোই হয়েছে তিতের দলের। মার্চে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে সেলেসাওদের প্রস্তুতিটাও ভালোমতই সারা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে।   


    ব্রাজিল একাদশ 
    অ্যালিসন বেকার; দানিলো, মার্কিনিয়োস, এডার মিলিতাও, লদি; ফাবিনহো, আর্থার মেলো, লুকাস পাকেতা; গ্যাব্রিয়েল হেসুস, ফিলিপ কুতিনিয়ো, রিচার্লিসন