বিপিএলের ড্রাফটে কীভাবে নিজের নাম উঠল, জানেন না গেইল
বিপিএলে বিদেশীদের মধ্যে সবার আগে এসেছিল তার নাম, ড্রাফটের শুরুতেই এ প্লাস ক্যাটাটগিতে ক্রিস গেইলকে ডেকে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে গেইল নিজেই জানেন না কীভাবে বিপিএল ড্রাফটে তার নাম এলো। এই বছরের শেষে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খেলার আপাতত তাই সম্ভাবনা দেখছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি কিংবদন্তি।
কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকান জানসি টি-টোয়েন্টি লিগে একটা বোমা ফাটিয়েছেন গেইল। ব্যর্থ হলেই তার ওপর দোষ চাপানো হয়, এমন আবেগঘন কথাবার্তা বলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় সময়টা একদমই ভালো কাটেনি গেইলের, ৬ ম্যাচে করেছেন ১০১ রান। তবে দুই তিন ম্যাচ রান না করলেই যে তার ওপর দোষ চাপানো হয়, কটু কথা শুনতে হয়- এসব ক্ষোভ গেইল অকপটেই জানিয়েছেন।
তখনি গেইল বলছিলেন তিনি বেশ ক্লান্ত। এই বছরটা বিশ্রাম নিয়ে কাটিয়ে পরের বছর আবার তরতাজা হয়ে ফিরতে চান। কিন্তু সামনের মাসে তো বঙ্গবন্ধু বিপিএল। যেখানে অনেক দিন ধরেই গেইল নিয়মিত মুখ। গত দুই মৌসুমে খেলেছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। এবারের বিপিএলে কি তাহলে খেলবেন না? গেইলের কথা থেকেই আপনি বুঝে নিতে পারবেন, ‘আমি এই মৌসুমের বিগ ব্যাশে খেলছি না। আমি জানি না এরপর কবে ক্রিকেট খেলব। এমনকি বিপিএলের ড্রাফটেও কিভাবে নাম এলো, কীভাবে আমাকে একটা দল নিয়ে নিল- এসবের কিছুই আমার জানা নেই।’ গেইলের শেষ কথাটা প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে, বিপিএলে না খেললে ড্রাফটে তাঁর নাম এলো কীভাবে? আপাতত সেটার উত্তর তাঁর এজেন্টই দিতে পারবেন, তবে চট্টগ্রামকে এখন খুঁজতে হবে বিকল্প। গেইলকে ছাড়াও কেসরিক উইলিয়ামস, আভিশকা ফার্নান্দো, রায়াদ এমরিট, রায়ান বার্ল, ইমাদ ওয়াসিমদের ড্রাফট থেকে নিয়েছিল চট্টগ্রাম।
গেইল বিপিএল তো বটেই, সামনের মাসে ভারতের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নিজের নাম না রাখার জন্যও অনুরোধ করেছেন নির্বাচকদের। সর্বশেষ গত সেপ্তেম্বর ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ওয়ানডে খেলেছিলেন গেইল। ব্যাটের ওপর হেলমেট রেখে বিদায়ের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন, তবে খোলাখুলি কিছু বলেননি। এবারও বললেন, এখনও ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে কিছু ভাবেননি।
গেইল না থাকায় আরও বর্ণহীন হয়ে পড়তে পারে এবারের বিপিএল। সামনের মাসের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের জন্য অনেক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারকে পাওয়া যাবে না শুরু থেকে।