'গেইলের ড্রাফট পদ্ধতি মেনেই করা হয়েছে'
কথাটা ক্রিস গেইল বলেছিলেন আরও দুই দিন। দক্ষিণ আফ্রিকার জানসি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার সময়েই বলেছিলেন, এই বছরটা তিনি বিশ্রামে কাটাতে চান। এমনকি বিপিএলের ড্রাফটে কীভাবে তার নাম এসেছে সেটাও জানেন না। তবে গেইলের কথাটা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও বিসিবির কাছে বিস্ময় হয়েই এসেছে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, গেইলের ড্রাফট পদ্ধতি মেনেই করা হয়েছে। তিনি আশাবাদী, বিষয়টা শিগগিরই মীমাংসা হয়ে যাবে।
জানসি প্রিমিয়ার লিগে গেইল বলেছেন, বিপিএলে কীভাবে দল পেলেন সেটা তিনি জানেন না। যদিও এ প্লাস ক্যাটাগরিতে সবার আগে গেইলকে ডেকেছিল চট্টগ্রাম। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের টিম ডিরেক্টর ও বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস নিজের বিস্ময়ের কথাও জানিয়েছেন। এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএল যেহেতু বিসিবির অধীনে হচ্ছে এ ব্যাপারে আজ জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কাছে। তিনি বলেছেন, পুরো ব্যাপারটা যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করেই করা হয়েছে, ‘আমি কোনো খেলোয়াড়ের কথা আলাদা করে বলব না। আমি শুধু আপনাদের পদ্ধতিটা বলছি। যখন ড্রাফট করা হয় তখন খেলোয়াড় বা তাদের এজেন্ট বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর ড্রাফটে তাদের নাম রাখা হয়। পুরো বিষয়টা একটা দালিলিক আকারে হয়। আপনারা বলার পর আমরা পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখেছি, এখানে পুরো ব্যাপারটা পদ্ধতি মেনে হয়েছে। আপনারা যে প্লেয়ারের কথা বলেছে শুধু সে নয়, অন্যদেরটাও পদ্ধতি মেনে করা হয়েছে।’
নিজামউদ্দিন বলছেন, পুরো ব্যাপারে ধোঁয়াশা শিগগিরই কেটে যাবে। গেইলকে বিপিএলে পুরো সময়ে পাওয়ার ব্যাপারেও তারা আশাবাদী, ‘আসলে আমরা অবগত না, কীভাবে এই কথা হয়েছে। কোন প্রেক্ষিতে তিনি এই কথা বলেছেন সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। ওই প্লেয়ারের এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করি পুরো ব্যাপারটা খুব শিগগিরই মীমাংসা করা হবে।’
শুরু থেকেই বিপিএলে নিয়মিত খেলছেন গেইল। ৩৮ ম্যাচ খেলে ১৩৩৮ রান করেছেন। গত মৌসুমেও খেলেছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে।