• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগে: ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরছেন টটেনহামের মরিনহো

    কিক অফের আগে: ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরছেন টটেনহামের মরিনহো    

    কবে, কখন

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-টটেনহাম হটস্পার

    ওল্ড ট্রাফোর্ড

    ৫ ডিসেম্বর, রাত ১.৩০


    ওল্ড ট্রাফোর্ড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। একটা সময় দুটো জিনিসই আপন ছিল হোসে মরিনহো। গত বছর ঠিক এই সময়টায় ‘রেড ডেভিল’দের ম্যানেজারের পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। চাকরি হারানোর প্রায় এক বছর পর আবারও ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরছেন মরিনহো, কিন্তু এবার প্রতিপক্ষ হিসেবে। টটেনহাম হটস্পারের ম্যানেজার হয়ে ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবেন ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’। ধুঁকতে থাকা ইউনাইটেড, ছন্দে ফেরা স্পার্স, বা বরখাস্ত হওয়ার আশঙ্কায় থাকা ওলে গানার সোলশার- ওল্ড ট্রাফোর্ডে সব ছাপিয়ে পাদপ্রদীপের আলোর তাই থাকছে মরিনহোর ওপরই।

    সাবেক দলের বিপক্ষে ফেরার আগে সংবাদ সম্মেলনে তাই ইউনাইটেডকে নিয়েই প্রশ্ন বেশি শুনতে হয়েছে মরিনহোকে। বরখাস্ত হলেও ‘রেড ডেভিল’দের প্রতি নিজের ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতার কথাই জানিয়েছেন তিনি, ‘ওল্ড ট্রাফোর্ড এমন একটা জায়গা যেখানে আমি সুখী ছিলাম। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকদের সাথেও আমার সম্পর্ক দারুণ। আমি বিশ্লেষক হিসেবেও সেখানে গিয়েছিলাম। ইউনাইটেড সমর্থকদের থেকে সেবার পাওয়া ভালোবাসায় আমি চিরকৃতজ্ঞ।”

     

     

    স্পার্সকে লিগে দুই ম্যাচের ব্যবধানে ১৪ থেকে ৫-এ নিয়ে এসেছেন মরিনহো। অন্যদিকে শীর্ষ ১০-এ থাকতেই ধুঁকতে হচ্ছে ইউনাইটেডকে। কিন্তু তারপরও সাবেক ক্লাবকে নিয়ে সম্ভাবনার কথাই জানালেন মরিনহো, “মৌসুমের শুরুটা ঠিক প্রত্যাশিত হয়নি তাদের। কিন্তু এখনও তারা শিরোপা জিততে পারে। ইউরোপা লিগের নকআউটে পৌঁছে গেছে তারা। এফএ এবং কারাবাও কাপেও খেলছে। সব মিলিয়ে শুরুর হতাশাকে পেছনে ফেলতে পারলে অনেকদূর এগুবে তারা।”

    তবে ইউনাইটেডের সাথে যত সুখস্মৃতিই থাকুক, এখন স্পার্সের হয়ে জয়ের জন্যই ওল্ড ট্রাফোর্ড নামবেন; জানিয়েছেন মরিনহো, “এই (ইউনাইটেড) অধ্যায়টি আমি পেছনে ফেলে এসেছি। ইউনাইটেড ছেড়েছি প্রায় বছরখানেক হল, আপনাদের কাছে সেটা নতুন হলেও আমার কাছে সেসব অতীত। আমি এখন স্পার্সের ম্যানেজার, আমার চিন্তাভাবনা সব তাদের নিয়েই।  টটেনহামের ম্যানেজার হতে পেরে আমি ভীষণ খুশি এবং গর্বিত।”

    মরিনহোর অধীনে খেলা ৩ ম্যাচে ১০ গোল করেছে স্পার্স। প্রায় ১০ মাস পর লিগে প্রতিপক্ষের মাঠেও জয় পেয়েছে তারা। কিন্তু রক্ষণ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে মরিনহোকে। তিন ম্যাচের কোনোটিতেই ক্লিনশিট রাখতে পারেনি তার দল, প্রতি ম্যাচেই গোল হজম করেছে ২টি করে। কিন্তু ডিফেন্ডারদের প্রতি পূর্ণ আস্থাই রাখছেন মরিনহো, ‘অবশ্যই গোল কম হজম করলে ভাল লাগত। তিন ম্যাচ দিয়ে আসলে ডিফেন্ডারদের বিচার করা ঠিক নয়। সময়ের সাথে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে তারা, তখন নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে।’

     

     

    মরিনহোর ওপর আলোটা থাকলেও সোলশারকে নিয়েও কম কথা হচ্ছে না মিডিয়াতে। মরিনহোর জায়গায় তাকে অন্তবর্তীকালীন ম্যানেজার হিসেবে এনেছিল ইউনাইটেড। শুরুর দিকে দুর্দান্ত ধারাবাহিক ছিল সোলশারের দল, পুরস্কারস্বরূপ চাকরিটা পাকাপাকিভাবেই পেয়ে যান ‘দ্য বেবি ফেসড অ্যাসাসিন।’ কিন্তু এ বছর যেন মাটিতে নেমে আসতে হয়েছে সোলশারের ইউনাইটেডকে। ১৪ ম্যাচে মাত্র ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৯-এ আছেন রাশফোর্ড-মার্শিয়ালরা।

    উনাই এমেরির পর প্রিমিয়ার লিগ ম্যানেজারদের মধ্যে বরখাস্ত  হওয়ার ‘দৌঁড়ে’ সবচেয়ে ‘এগিয়ে আছেন’ সোলশারই। কিন্তু ইউনাইটেড কিংবদন্তী বলেছেন; চাকরি হারানোর ভয়ে তাকে জেঁকে ধরেনি কখনও, “ফুটবলে আপনি যেই হোন না কেন, ভাল ফলাফল এনে দিতে না পারলে চাকরি হারানোটা খুবই স্বাভাবিক। এই মৌসুমটা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না আমাদের, কিন্তু আমরা হাল ছাড়ব না কখনোই। স্পার্স দুর্দান্ত দল, মরিনহোর অধীনে যেন নিজেদের ফিরে পেয়েছে তারা। কিন্তু নিজেদের মাঠে আমরাও জয়ের জন্যই খেলব। চাকরি হারাবো কি না, সে ব্যাপারে ভাবি না। ইউনাইটেডের ম্যানেজার হতে পেরেই আমি গর্বিত।’

     

    দলের খবর

    দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকার পর এই ম্যাচ দিয়ে ইউনাইটেডের মিডফিল্ডে ফিরতে পারেন স্কট ম্যাকটমিনে। কিন্তু এবারও স্কোয়াডে ফিরতে পারছেন না পল পগবা। এরিক বাই, ডিয়েগো দালোতদেরও পাচ্ছেন না সোলশার। ইনজুরি সমস্যা আছে স্পার্সেও। টাঙ্গুয়ে এন’দোম্বেলে, বেন ডেভিস, এরিক লামেলাদের কাউকেই পাচ্ছেন না মরিনহো।

    সম্ভাব্য মূল একাদশ

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৪-৩-৩): ডি গেয়া; ওয়ান-বিসাকা, লিন্ডেলফ, ম্যাগুয়ের, শ; ম্যাকটমিনে, পেরেইরা, ফ্রেড; জেমস, মার্শিয়াল, রাশফোর্ড

    টটেনহাম হটস্পার (৪-২-৩-১): গাৎজানিগা; অরিয়ের, ভার্টনহেন, অল্ডারওয়েরেল্ড, রোজ; উইঙ্কস, সিসোকো; লুকাস, আলি, সন; কেইন

     

    সংখ্যায় সংখ্যায়

    • ১৯২তম ম্যাচে ওল্ড ট্রাফোর্ডে মুখোমুখি হবে দুই দল। ইউনাইটেডের জয় ৯১টি, স্পার্স জিতেছে ৫২ ম্যাচ
    • শেষ দেখায় টটেনহামকে তাদেরই স্টেডিয়ামে হারিয়েছিল ইউনাইটেড
    • গত মৌসুমে ওল্ড ট্রাফোর্ডে মরিনহোর ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল টটেনহাম

     

    প্যাভিলিয়ন প্রেডিকশন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১-২ টটেনহাম হটস্পার