কোচ গিবসে ফিরবেন ক্রিকেটার গিবস?
টেকো মাথায় ঘাম চিকচিক করছে, সেই পরিচিত ঘরানার সানগ্লাস চোখে। খুব কাছ থেকে দেখলে চোখেমুখে বয়সের ছাপটা খেয়াল করা যায়, দূর থেকে দেখলে অবশ্য সেটির উপায় নেই খুব একটা। যেন মনে হবে, হার্শেল গিবস অনেকদিন পর আবার খেলতে এসেছেন বাংলাদেশে। ২০১১-১২ সালে খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলের হয়ে খেলে গিয়েছিলেন, এবার ফিরলেন সিলেট থান্ডারের হেড কোচ হয়ে। তবে গিবস কোচিংয়েও বজায় রাখতে চান খেলোয়াড়ি জীবনের দর্শনটাই।
“একদমই পার্থক্য নেই”, কোচ গিবসের সঙ্গে ক্রিকেটার গিবসের মাঝে পার্থক্য বলতে বললে জবাব দিলেন গিবস। খেলার ধরনটাও বলছেন সঙ্গে, “অনেক জীবনীশক্তি ও প্যাশন দিয়ে খেলেছি, স্কিলও ছিল। আমার ক্রিকেটারদের মাঝেও সেই ভয়ডরহীন ব্যাপারটা ঢুকিয়ে দিতে হবে। মঞ্চটা উপভোগ করতে হবে।”
“আমি পরের ১০ বছরও খেলতে পারব। অবশ্যই খেলার মতো তরুণ মনে হয় নিজেকে”- গিবস হয়তো মজা করেই বলেছেন এসব কথা। তবে আদতেই যারা তরুণ- যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি এখনও- তাদের জন্যও এ আসরকে বিশাল একটা মঞ্চ বলে বিবেচনা করতে বলছেন তিনি, “পরের কয়েক সপ্তাহকে আমি আলিঙ্গনে বাঁধতে বলব তাদের। নিজেদের মেধার ওপর আস্থা রাখতে বলব। এই টুর্নামেন্টে অনেক বড় নাম আছে, (ফলে) চ্যালেঞ্জটাও বড়।”
এমনিতে তেমন বড় কোনও তারকা নেই গিবসের দল সিলেটে, সবচেয়ে বড় তারকা বলতে হলে হয়তো তাকেই বলতে হবে। তবে এই ব্যাপারটা নিজেদের সুবিধা করে দেবে বলেও আশা তার, “আমার মনে হয়ে এটি আরও বেশি স্বাধীনতা দেবে। এখন অনেক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বলে বড় নামও বেশি। তবে আপনি যত বেশি অচেনা হবেন, ততো ভাল হয়ে উঠবেন। দলের সঙ্গে আমার দারুণ আলাপ হয়েছে, এবং তাদেরকে উত্তেজিত মনে হয়েছে। এটি ভাল লক্ষণ।”
“যদি আপনি রাডারের মধ্যে না থাকেন, তাহলে বের হয়ে যেতে সুবিধা হয়। সবার মাঝেই স্নায়ুর উত্তেজনার সঙ্গে জীবনীশক্তি থাকবে- এমনকি আমার মাঝেও। আমি এখনও আমার ক্রিকেটারদের মতোই ব্যাপারগুলি অনুভব করতে পারি। কাল আসুক, যদি স্বাধীনভাবে খেলতে পারেন, তাহলে আপনি যে কোনও কিছুই অর্জন করতে পারবেন। খেলায় নিশ্চয়তা বলতে কিছু নেই, এবং এটিই দারুণ ব্যাপার।”
অবশ্য গিবস স্বীকার করছেন, তার দলে কিছু দূর্বলতা আছে। টপ অর্ডারে একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছিলেন তিনি, তবে স্পিনের বৈচিত্র তাকে আশা জোগাচ্ছে, “আমি তাদেরকে ভালভাবে প্রস্তুত দেখতে চাই। অতি-প্রস্তুতির দরকার নেই।”