• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    মিঠুনকে ম্লান করে চট্টগ্রামকে জেতালেন ইমরুল-ওয়ালটন

    মিঠুনকে ম্লান করে চট্টগ্রামকে জেতালেন ইমরুল-ওয়ালটন    

    সিলেট থান্ডার ১৬২-৪, ২০ ওভার
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬৩-৫, ১৯ ওভার 
    চট্টগ্রাম ৫ উইকেটে জয়ী 


    মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস ছাপিয়ে ইমরুল কায়েসের ৩৮ বলে ৬১ রানের ইনিংসে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত সহজ জয়ে বিপিএল শুরু করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৬৪ রানতাড়ায় নেমে দলকে ২০ রানে ২ উইকেট অবস্থায় পেয়েছিলেন ইমরুল, চাপে পড়া চট্টগ্রামকে উদ্ধার করেছে তার ইনিংসই। সঙ্গে ছিলেন চ্যাডউইক ওয়ালটন, দুজনের জুটি ছিল ৮৬ রানের। ওয়ালটন অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৪৯ রানে। 

    সোহাগ গাজিকে ছয় মেরে শুরু করেছিলেন ইমরুল, ছিলেন দারুণ ছন্দে। তিনি পরে মেরেছেন আরও ৫টি ছয়, ফিফটি পূর্ণ করেছেন ২৯ বলে। স্পিনারদের বলে মেরেছেন ৪টি ছয়, সঙ্গে ইনিংসে ছিল দুইটি চার। শেষ পর্যন্ত এবাদতের স্লো বাউন্সারে টেনে মারতে গিয়ে লং-অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।

    নাজমুল ইসলাম অপুর জোড়া আঘাতে শুরুতে চাপে পড়েছিল চট্টগ্রাম, ইনিংসের ৪র্থ ওভারেই। পরপর দুই বলে ফিরেছিলেন জুনাইদ সিদ্দিক ও নাসির হোসেন- টেনে মারতে গিয়ে লং-অনে ক্যাচ দিয়েছিলেন জুনাইদ, আর কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়ে গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন নাসির। এর আগে সোহাগ গাজির করা ৫ম ওভারে ২০ রান তুলেছিলেন আভিসকা ফার্নান্ডো। ওয়াইড দিয়ে শুরুর পর বিশাল নো- সান্টোকি শুরুতে ছিলেন এলোমেলো। ফার্নান্ডো শেষ পর্যন্ত ক্যাচ দিয়েছেন তার বলেই। মোসাদ্দেকের বলে বার্ল এলবিডব্লিউ হলে ম্যাচ থেকে আরেকটু দূরে সরে গিয়েছিল চট্টগ্রাম, এরপরই ইমরুল-ওয়ালটনের জুটিতে সর্বনাশ হয়ে গেছে সিলেটের। 

    এর আগে মোহাম্মদ মিঠুনের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৬২ রান তুলেছিল সিলেট থান্ডার। মিরপুরের জীবন্ত উইকেটে ইনিংসের পরের ভাগে চট্টগ্রামের ওপর চড়াও হয়েছে সিলেট। প্রথম ১০ ওভারে ৬.৬ হারে ৬৬ রান তুলেছিল তারা, পরের ১০ ওভারে সে রানরেট গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬-এ। 

    শুরুর দিকে বেশ সতর্ক ছিলেন মিঠুনও, প্রথম ১৯ বলে করেছিলেন মাত্র ১৫ রান। মুক্তার আলিকে ছয় মেরে শেকল ভেঙেছেন মিঠুন, এরপর জীবন পেয়ে সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন পুরোপুরি। নাসুম আহমেদের এক ওভারেই মেরেছেন তিনটি ছয়, সে ওভারে মোট উঠেছিল ২৪ রান। ফুললেংথের বলে ড্রাইভ করেছেন দারুণ, টেনেও মেরেছেন সুযোগ পেলেই। একসময় জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও।

    শেষ পর্যন্ত অবশ্য থেমেছেন ৪৮ বলে ৮৪ রান করে, ছিলেন অপরাজিত। ৪টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছয়, এর আগে টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ ছিল ৮০ রান, করেছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে। বিপিএলে এই ডানহাতির সর্বোচ্চ ছিল অপ্রয়াজিত ৬৪ রান, রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন এ ইনিংস।

    টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটা ভাল ছিল চট্টগ্রামের, দ্বিতীয় ওভারে রুবেল হোসেনের হালকা মুভমেন্টের বলে খোঁচা মেরে ফিরেছিলেন রনি তালুকদার। পঞ্চম ওভারে চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রায়াদ এমরিতকে টানা চার চারে এক ওভারেই জনসন চার্লস তুলেছিলেন ১৭ রান। ৭ম ওভারে নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন চার্লস, ২৩ বলে ৩৫ রান করে। এরপর জিভান মেন্ডিসও ফিরলে চাপে পড়ে সিলেট, এমরিতকে তুলে মারতে গিয়ে লং-অনে চ্যাডউইক ওয়ালটনের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।

    মোসাদ্দেক-মিঠুনের জুটিতে ওঠা ৯৬ রান এরপর সিলেটকে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে। অবশ্য মিঠুনের ইনিংসের সঙ্গে গতিটা ঠিক ধরে রাখতে পারেননি পাঁচে নামা মোসাদ্দেক, ৩৫ বলে ২৯ রান করে রুবেলের বলে শর্ট কাভারে এমরিতকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন তিনি।