রোহিত-রাহুল-কোহলিতে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ভারত ২০ ওভারে ২৪০/৩
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ১৭২/৮
ফলঃ ভারত ৬৭ রানে জয়ী
শুরুটা করে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা আর লোকেশ রাহুল্ল। পরে যোগ দিলেন বিরাট কোহলি, আর রাহুল ছিলেন শেষ পর্যন্ত। তাতে ভারত যে এভারেস্টে চড়ল, সেটা টপকাতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬৭ রানের বড় ব্যবধানেই হারল ম্যাচ, সেই সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে হারল সিরিজও।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচটা আজ ছিল ব্যাটিং-স্বর্গ। বোলারদের জন্য তেমন কিছু ছিল না। তবে শিশিরের কথা মাথায় রেখে টসটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাতে জিতে অনুমিতভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বল করার। কিন্তু সিদ্ধান্তটা কাজে আসেনি খুব একটা। শুরু থেকেই ঝড় তুলেছেন রাহুল ও রোহিত। মাত্র ৪.১ ওভারেই উঠেছে ৫০ রান, আর প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৭২। রোহিতই বেশি আগ্রাসী ছিলেন শুরুতে, ফিফটি পেয়ে গিয়েছেন মাত্র ২৩ বলে। রাহুল অবশ্য ২৯ বলে করে তার চেয়ে বেশি পিছিয়ে ছিলেন না। এর মধ্যেই উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৮ ওভারে উঠেছে ১০০ রান। শেষ পর্যন্ত রোহিতকে আউট করে জুটি ভেঙেছেন কেসরিক উইলিয়ামস, ৩৪ বলে ৭১ রান করে ফিরে গেছেন রোহিত। পরের ওভারে কোনো রান না করেই ফিরে গেছেন রিশভ পান্ট, তিনে উঠে আসার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি।
তবে রাহুলের লিড গিটারের সঙ্গে খুব শিগগিরই ড্রামস বাজানো শুরু করলেন কোহলি। ১৪ ওভারে ভারত তুলে ফেলল ১৫০। শেষ ৬ ওভারে সেই ঝড়টা হয়ে গেল সাইক্লোন। ১৭.৪ ওভারে ২০০ রান করে ফেলল ভারত, রাহুল পাচ্ছেন সেঞ্চুরির সুবাস। শেষ ওভারের শেষ তিন বলে ৯ রান জিলেই হতো। কিন্তু পারেননি, আউট হয়ে গেছেন ৫৬ বলে ৯১ রান করে। তবে কোহলি ছিলেন আরও বেশি আগ্রাসী, প্রথম ম্যাচের চেয়েও যেন বিধ্বংসী। ২৯ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। চারটি চারের সঙ্গে মেরেছেন সাতটি ছয়। ভারত ২০ ওভারে ২৪০ রানের পাহাড়ে পৌঁছেছে শেষ পর্যন্ত।
ভারতের বোলিংয়ে কিছু পরিবর্তন ছিল আজ। জাদেজা আর চেহেলের জায়গায় সুযোগ পেয়েছিলেন শামি ও কুলদীপ। দ্বিতীয় ওভারেই ব্রেন্ডন কিংকে ফিরিয়েছেন ভুবনেশ্বর, পরের ওভারে লেন্ডল সিমন্সকে ফিরিয়ে ধাক্কা দিয়েছেন শামি। নিকোলাস পুরান চাহারের প্রথম বলেই আউট,১৭ রানে ৩ উইকেট নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এরপর তাদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন শিমরন হেটমেয়ার ও কাইরন পোলার্ড। কিন্তু হেটমেয়ার ৪১ রান করে আউট হয়ে গেছেন কুলদীপের বলে, ভেঙেছে দুজনের ৭৪ রানের জুটি। পোলার্ড় চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তার ৩৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংসটা মিরাকলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন ১৭৩ রান করেছে, ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে গেছে তার অনেক আগেই।