• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    ফেরার দিনে জাজাই-লিটনদের কাছে বড় পরাজয় তামিম-মাশরাফিদের

    ফেরার দিনে জাজাই-লিটনদের কাছে বড় পরাজয় তামিম-মাশরাফিদের    

    সরাসরি স্কোর দেখুন


    ঢাকা প্লাটুন ১৩৪/৯, ২০ ওভার 
    রাজশাহী রয়্যালস ১৩৬/১, ১৮.২ ওভার 
    রাজশাহী ৯ উইকেটে জয়ী 


    বেশ লম্বা ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়েও স্কোরবোর্ডে ১৩৪ রান যথেষ্ট হয়নি ঢাকার। সে রান বেশ সহজেই ছাড়িয়ে গেছে রাজশাহী- হজরতউল্লাহ জাজাই, লিটন দাস ও শোয়েব মালিক আর কাউকে বিরক্ত করেননি ব্যাটিং করতে নামতে বলে। মাঠে ফেরার দিনে তাই পরাজয় সঙ্গী হলো তামিম ইকবাল-মাশরাফি বিন মুর্তজাদের। বিশ্বকাপের পর এই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে নেমেছিলেন মাশরাফি, আর ব্যক্তিগত কারণে ভারত সফর মিস করেছিলেন তামিম। 

    প্রথম ব্রেকথ্রু পেতে ৯ম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ঢাকাকে, ৬২ রানের ওপেনিং জুটির পর মাহেদির হাসানের বলে ইনসাইড-আউট খেলতে গিয়ে লিডিং-এজড হয়ে ফেরার আগে লিটন করেছেন ২৭ বলে ৩৯ রান। 

    লিটনের চেয়ে কম গতিতে রান তুলছিলেন জাজাই, তবে ক্রিজ আগলে রেখেছিলেন তিনি। সেভাবে গিয়ার বদলানোর দরকার পড়েনি তার, রিয়াজকে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন তিনি ৪৫ বলে। শোয়েব মালিকও খেলেছেন প্রায় একই ধরনের ইনিংস। রান নেওয়ার সময় এভান্সের করা থ্রো হাতে এসে লাগলো মালিকের, ঢাকা তাকে টলাতে পারলো ওই অতটুকুই। 

    ১৩৪ রান পেরিয়ে যেতে রাজশাহীর প্রয়োজন পড়লো ১৮.২ ওভার। অবশ্য ঢাকার ইনিংসে নামা ধসে একসময় মনে হচ্ছিল, রাজশাহীর লক্ষ্য দাঁড়াবে আরও কম। ৭৮ রান থেকে ২ উইকেট থেকে ৮৩ রানে ৬ উইকেট বনে যাওয়া ঢাকা শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রান পর্যন্ত গিয়েছিল ওয়াহাব রিয়াজের ১২ বলে ১৯ ও মাশরাফি বিন মুর্তজার ১০ বলে ১৮ রানের ক্যামিওতে। এনামুল হক বিজয় ও জাকের আলির জুটিতে শুরুর ২ উইকেটের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিলেও আবারও খেই হারিয়েছিল ঢাকা। 

    ব্যাটিংয়ে তামিমের দিনটা অবশ্য কেটেছে হতাশায়। ফরহাদ রেজার অফস্টাম্পের বাইরের বলে তাড়া করতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়েছেন এই বাঁহাতি। তার আউটের ঠিক প্রতিফলন ছিল লরি এভান্সের, তিনি একইভাবে রাহির বলে ক্যাচ দিয়েছেন কাপালির হাতে। 

    এরপর জাকের আলির সঙ্গে ৩৯ রানের জুটিতে ঢাকাকে একটু আগলে রাখতে চেয়েছিলেন বিজয়, তবে তার ডাকেই সাড়া দিয়ে সিঙ্গেল চুরি করতে গিয়ে রান-আউট হয়েছেন জাকের। ঢাকার ধসের শুরুটাও হয়েছে সে উইকেট দিয়েই। এরপর বিজয়ের আগে-পরে ফিরেছেন থিসারা পেরেরা ও শাহিদ আফ্রিদি, পেরেরা তাইজুলের বলে ধরা পড়েছেন বাউন্ডারিতে, বোপারাকে তাড়া করতে গিয়ে আউটসাইড-এজড হয়ে গোল্ডেন ডাক মেরেছেন আফ্রিদি। 
     
    বিজয় ক্রিজে টিকে ছিলেন, তবে ঠিক পেখম মেলতে পারেননি। ১ চার ও ২ ছয়ে ৩৩ বলে ৩৮ রান করে ছুঁড়ে এসেছেন উইকেট, কাপালিকে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েছেন। এরপর আরিফুল হক ও মাহেদি হাসানের রান-আউট ঢাকার চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল আরও। 

    রিয়াজের ২ চার ও ১ ছয়ের সঙ্গে মাশরাফির মিডউইকেট ও লং-অন দিয়ে দুই ছয়ে একটু অক্সিজেন পেয়েছে ঢাকা। শেষ ওভারে ২০ রানসহ শেষ ৩ ওভারে তারা তুলেছে ৩৮ রান।