• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    তামিমকে নিয়ে চিন্তা নেই মাশরাফির, নিজের চাওয়া প্যাশন নিয়ে খেলা

    তামিমকে নিয়ে চিন্তা নেই মাশরাফির, নিজের চাওয়া প্যাশন নিয়ে খেলা    

    দুজনেরই প্রত্যাবর্তন হয়েছে এ ম্যাচ দিয়ে। বিশ্বকাপের পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে মাশরাফি বিন মুর্তজা করেছেন ১০ বলে ১৮ রান, বোলিংয়ে ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য। আর ভারত সফর মিস করা তামিম ইকবাল ৫ বল খেলে করেছেন ৪ রান। তামিম আবারও নিজেকে প্রমাণ করবেন, আর তার নিজের লক্ষ্য প্যাশন নিয়ে খেলা- বলছেন মাশরাফি। 

    তামিম বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে তিনটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এরপর জাতীয় লিগেও খেলেছিলেন একটি ম্যাচ। মাশরাফি অবশ্য মাঠে ফিরলেন এই প্রথম। ব্যাটিংয়ে দশে নেমেছিলেন, দুটি ছয়ও মেরেছেন। বোলিংয়ে অবশ্য বরাবরের মতোই ভরসা করেছেন ক্রস সিমের ডেলিভারির ওপর। নিজের ফিটনেস নিয়ে তিনি বলছেন, আপাতত ছোটখাট সমস্যা আছে তার- যেগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন। 

    “আমার কথা যদি বলেন, হালকা সমস্যা আছে”, বলছেন তিনি, “এতদিন পর নেমেছি। থাকার কথা ছিলো না। তবু ছোটখাটো নিগলস আছে। দুই-তিন মাস বাইরে থাকলে যেটা হয় আর কি। তিন-চার ম্যাচ খেললে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। পিঠে একটু (সমস্যা) আছে। তবে এগুলো আগেও কাটিয়ে উঠেছি। এবারও হয়ে যাবে।”

    বিপিএলে ৬ আসরের ৪ বারের চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক বলছেন, ব্যক্তিগত কোনও লক্ষ্য নেই তার, “মনে হয় না বিপিএলে এমন কিছু লক্ষ্য করার আছে। তবে অবশ্যই দলের জন্য সেরা যেটা হয়, করার চেষ্টা করবো। মূল জিনিস হচ্ছে দল। ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরও অনেক চাওয়া-পাওয়া থাকে, যেহেতু তারা এত টাকা খরচ করে দলটা করে। তাই ঐ প্যাশনটা নিয়ে খেলার একটা চেষ্টা থাকে। আর খেলোয়াড়রা তো সবসময়ই চায় মাঠে নিজের সেরাটা দিতে।”

    তামিম ইকবালও নিজের সেরাটা দেবেন বলেই বিশ্বাস তার, “আমার মনে হয় না তামিমকে নিয়ে বেশি চিন্তা করার আছে। গত আসরেও তামিম এমন করেই প্রায় পুরোটা টুর্নামেন্ট খেলেছে। অথচ ট্রফি জেতানো ইনিংসটা কিন্তু ওর ব্যাট থেকেই এসেছে। বারবার প্রমাণ করেছে তামিম। এখন ব্যাপারটা হলো, পুরো দল এক হয়ে খেলা।”

    সেখানেই রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচে ঘাটতি ছিল বলে ধারণা তার, “উইকেটটা ভালো ছিলো, মিরপুরে সচরাচর এমন উইকেট পাওয়া যায় না। আমাদের স্কোরও ১৬০ করার দিকেই ছিলাম। পরপর দুই-তিনটা রান-আউট ক্ষতি করে দিয়েছে। আমার মনে হয় এখনই চিন্তার কিছু নেই কিংবা গুরুতর আলোচনা করারও সময় না।” 

    অভিজ্ঞ শুভাগত হোমের মতো ক্রিকেটারকে বাদ দিয়ে জাকের আলি অনিকের মতো তরুণকে খেলিয়েছে ঢাকা, ছিলেন পেসার সুমন খানও। মাশরাফি বলছেন, তরুণদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ, “বিশেষ করে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ। আমি মনে করি আমাদের দলে এই সুযোগটা আছে কিছু করে দেখানোর। যেহেতু ঢাকা প্লাটুন আশাই করে যে সেমিফাইনাল খেলবে, তাই চাপ থাকবেই। এই পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করাটা আমি মনে করি, ওদের জন্য দারুণ সুযোগ। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশের বোলারদের কীভাবে খেলছে। অধিনায়ক হিসেবে আমি এটাই দেখতে চাই ওরা চাপের মুখে কীভাবে খেলছে।”